বঞ্চনামুক্তির বর্ষপূর্তি

নানা আয়োজনে বঞ্চনামুক্তির এক বছর পালন করেছে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা।

নীলফামারী প্রতিনিধিলালমনিরহাট ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2016, 01:24 PM
Updated : 1 August 2016, 01:24 PM

ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, দাশিয়ারছড়াসহ ভারতের ১১১টি ছিটমহল গত ১ অগাস্ট প্রথম প্রহর থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়। ছিট বিনিময়ের ফলে দীর্ঘ ৬৮ বছরের অভিশপ্ত জীবন পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিরা এক বছর পূর্তিতে মেতে উঠে বিজয়ের আনন্দে।

লালমনিরহাট

নানা আয়োজনে ছিটমহল বিনিময়ের এক বছর পূর্তি উদযাপন করেছে লালমনিরহাটের বিলুপ্ত ৫৯টি ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশিরা।

সোমবার সকালে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত বাঁশকাটা ছিটমহলের নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন।

ভিতরকুটি- বাঁশপচাই ছিটমহল উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, পতাকা উত্তোলন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মোতাহার হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

পরে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ও বিভিন্ন রকম শিশুতোষ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত পালাগান, সারিগান, যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে রোববার রাত ১২টায় ১ মিনিটে সদর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ভিতরকুটি- বাঁশপচাই ছিটমহলে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

নীলফামারী

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে নীলফামারীর বিলুপ্ত চার ছিটমহলের বাসিন্দারা।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে ডিমলার উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে সংযুক্ত সাবেক ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়ি ছিটমহলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম। এ সময় বাকি তিনটি বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দার উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালি শেষে সাবেক ছিটমহল বাস্তয়বায়ন কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, টেপাখড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন, সাবেক ২৮ নম্বর ছিটমহল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।