ইউরোপের দিনপঞ্জি: আল্পসের চূড়ায় বাবাকে মনে পড়ে

বাড়ির নাম আনন্দ নিকেতন, আমার ঠাকুর্মা আনন্দময়ীর নামে নাম। বাড়ির দোতলায় থাকি আমরা।

অমৃতা পারভেজ, জার্মানির বন শহর থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2016, 11:33 AM
Updated : 6 Nov 2016, 10:47 AM

পাশাপাশি দু'টো ঘর টানা বারান্দা, সাথে খোলা ছাদ। দু'টো ঘরের একটাতে টিভি। ঘরের সামনে বারান্দায় রাতের বেলা বাবা দোকান থেকে ফিরে একটা চেয়ারে বসতেন।

তখন আমার বয়স পাঁচ বা ছয়, বাবা অসুস্থ। তাই আমি আমার ছোট্ট বালিশটা বাবার কোলে রেখে ওটার উপর বসতাম টিভি দেখতে। ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেষা শহর দিনাজপুরে বিটিভির চেয়ে দূরদর্শন দেখা যেত বেশ পরিষ্কার। প্রতি রবিবার হত হিন্দি সিনেমা। একদিন 'জঙলি' সিনেমাটা চলছে, দেখাচ্ছে শিমলা বা কাশ্মীরের দৃশ্য।

আমি বাবাকে বললাম, এত ঠাণ্ডায় কেউ বাঁচে বাবা?

বাবা বললেন, "গেলেই দেখতে পাবে।"

আমি বললাম, "আমরা কবে যাব, বাবা ?"

বাবা বললেন, "তুমি পড়ালেখা করে বড় হও। একদিন ঠিক দেখতে পাবে।"

এই কথাগুলো আমি ভাবছিলাম আল্পসের চূড়ায় উঠে। তারপর মাত্র চার বছর পর বাবা চলে গিয়েছিলেন।  এরপর দিনাজপুর থেকে ইউরোপ আসার মাঝে অনেকটা উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। সেসব কথা হয়ত অন্য কোথাও লেখা হবে। কিন্তু ঢাকা থেকে কিভাবে এই মহাদেশে এলাম, সেটা বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। সে সময় 'বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম'-এ কাজ করতেন তপুদা। আমার বরকে বললেন, 'ডয়চে ভেলে'তে একজন নারী সাংবাদিক নেবে, যে উপস্থাপনা করতে পারে। একটা পরীক্ষা হবে।

'ডয়চে ভেলে'র নাম আমি সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ভাইয়ের মুখ থেকে যতটা শুনেছি, শুধু ততোটুকুই জানি। যাই হোক ২৫ ফেব্রুয়ারি হরতাল চলছিল। এর মধ্যে 'গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটে' লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হল। পরীক্ষা নিলেন বাংলা বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ। মার্চ মাসে তিনি ফোনে জানালেন, দু'জনকে তারা প্রাথমিক নির্বাচিত করেছেন। উনি ঢাকায় এসে একটা অডিশন নিয়ে ওনার বসকে পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

যেকোনো বাংলাদেশির জন্যই ইউরোপ ভ্রমণ একটা স্বপ্ন। আর আমার মত যাদের পায়ের তলায় সর্ষে, তাদের জন্য তো বটেই। আর মন বলছিল হয়ে যাবে। আমার বরও ততটাই আত্মবিশ্বাসী।

এপ্রিলের ৯ তারিখে সোনারগাঁও হোটেলে দেবারতি দিদি অডিশন নিলেন আমার। জার্মানি ফিরে জানালেন আমাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমার যেন মাটিতে পা পড়ছিল না।  ঠিক স্বপ্নে ভাসছিলাম আমি। মজার ব্যাপার হলো, একই বছরে চারদিনের ব্যবধানে আমার বরও ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এমএস করতে চলে যায়।

জুলাই মাসের ৩১ তারিখে ফ্লাইট। ভাষা শেখা হয়নি। দু-চারটা শব্দ বলতে পারি। যাওয়ার আগে দু'রাত ধরে আতঙ্কে ঘুম হচ্ছিল না। এই প্রথম একা বিদেশ ভ্রমণ, তাও আবার ভিন্ন ভাষাভাষীর দেশে এবং বেড়াতে নয়, কাজে।

ড্রাখেন দূর্গ থেকে তোলা বন শহর ও রাইন নদী

কেমন যেন একটা ঘোর কাজ করছিল। কোথায় যে ঠিক যাচ্ছি, সেই উত্তেজনাটা টের পাচ্ছিলাম না। কারণ আতঙ্ক সেই জায়গাটা গ্রাস করে নিয়েছিল।

ঢাকায় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে তন্ময় (আসিফ মুনীর চৌধুরী) ভাইয়ার সঙ্গে দেখা। বললাম, দুবাই গিয়ে আমায় যেন একটু চিনিয়ে দেন কোথায় যেতে হবে।

এমনই কপাল-ফ্লাইট ডিলে। দুবাই গিয়ে জানলাম আমার জার্মানির প্লেন চলে গেছে। তন্ময় ভাইয়া সাহস দিলেন, বললেন এমিরেটসের ডেস্কে গিয়ে জিজ্ঞস করলেই হবে।

যাহোক, জানা গেল ভোর ৪টায় ফ্লাইট। আমি পৌঁছেছি দেড়টায়। তাই হোটেল দিল এমিরেটস থেকে। সেখান থেকে ৩০ ডলার দিয়ে পাঁচ ঘণ্টার দুবাই সফর করলাম। মোটামুটি দুবাই শহর দেখা হল।

ড্রাখেন দূর্গ থেকে তোলা বন শহর ও রাইন নদী

রাতে হোটেলে খেয়ে নিলাম। কিন্তু এত বিশাল হোটেলে ভীষণ ভয় করছিল। বাসায় ফোন করে সব জানালাম। রাত দুইটায় হোটেলের গাড়ি বিমানবন্দরে নিয়ে এল। সাথে একটা বাংলাদেশি পরিবার পেয়ে স্বস্তি পেলাম কারণ তারাও আমার ফ্লাইটের যাত্রী।

সকাল ১০টায় পৌঁছে গেলাম ফ্রাঙ্কফুটে। অগাস্টের ১ তারিখ। বাংলাদেশি পরিবারটি জানিয়ে দিলো, আমাকে অন্য টার্মিনালে যেতে হবে। তাদের ফোন থেকে অফিসের বসকে ফোন করলাম। জানালো তারা 'বন'-এ রেল স্টেশনে থাকবে।

আমি টার্মিনাল ১-এ পৌঁছে দেখলাম অসংখ্য মানুষ দৌঁড়াচ্ছে। কোথায় ট্রেন,কোথায় কি- কিছুই জানি না। অকুল পাথার।

লাল লাল কয়েকটা মেশিন দেখতে পেলাম, যেখানে মানুষ টিকেট কাটছে। আমার অনলাইন টিকেটে নাম্বার দেয়া আছে। কিন্তু কিভাবে সেই নাম্বার টিপে টিকেট বের করতে হয় জানা নেই। একটা ছেলে টিকেট কাটছিল। তাকে বলতেই বললো, আমি কেটে দিচ্ছি একটু অপেক্ষা কর।

ডয়েচে ভেলের পাশে পার্কের ভেতরে রাখা মূর্তি

সে যে আমাকে কেবল টিকেট কেটে দিল তাই নয়, আমাকে তার ছোট্ট ব্যাগটা ধরতে বলে আমার ৩০ কেজি লাগেজটা হাতে নিয়ে বললো ট্রেন এখনই চলে আসবে। তাড়াতাড়ি চল।

আমরা ট্রেনে উঠলাম। ৪৫ মিনিটে বনে পৌঁছালাম। সে আমার ব্যাগটি নামিয়ে দিয়ে বলল, জার্মানিতে তোমার দিনগুলো ভালো কাটুক। 

আসার আগে সবার কাছ থেকেই শুনেছিলাম, জার্মানরা ভীষণ নাক উঁচু আর বর্ণবাদী। কিন্তু টম নামের সেই ছেলেটির আচরণ আমায় সেই দিক থেকে অনেকটাই আশ্বস্ত করল।

বনের জিগবুর্গ স্টেশনে নেমে আমি কাউকে দেখতে পেলাম না। টিকেট কাউন্টারে গিয়ে বললাম, আমি একটা ফোন করতে চাই। তারা আমাকে ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন করতে দিল। অফিসে ফোন করতেই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমার বস গ্রেহেম লুকাস এবং সেক্রেটারি জেসিকা গাড়ি নিয়ে হাজির।

বন শহরের একটি পার্কে ফুল ফুটে আছে

তখনও আমার ঘোর কাটেনি। আমি যে ইউরোপ পৌঁছে গেছি সেই বোধটাই কাজ করছিল না।  বনের রাস্তাঘাট কিছুই লক্ষ্য করছিলাম না। আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। হয়ত এজন্য যে, আমি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছেছি, সেটা ভেবে কিছুটা প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। গ্রীষ্মের একটি সুন্দর রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ছিল সেটি।

অফিসে পৌঁছে বাংলা বিভাগের প্রধান দেবারতি দিদির দিকে দেখে আরও কিছুটা স্বস্তি পেলাম। স্বস্তিটা বেড়ে গেল সবার সঙ্গে বাংলায় কথা বলতে পেরে। চোখ জুড়ে আমার তখন ক্লান্তি। কিন্তু যেহেতু মাসের ১ তারিখ আমার জয়েন করার কথা। তাই কাজে লেগে যেতে হল। মানে আমার অফিসে কাজ করার অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর কী কী করতে হবে এবং কবে করতে হবে ইত্যাদি। সবাই চলে যাওয়ার পর দেবারতি দিদি তার বাসায় থেকে যেতে বললেন।

তখন রমজান মাস। আমার সহকর্মী জাহিদ ভাইয়ের বাসায় ইফতারের দাওয়াত। আগস্ট মাসে বন শহরে সন্ধ্যা হয় সাড়ে ১০টার দিকে। তাই আমরা ৮টার দিকে রওনা দিলাম ট্রামে চেপে।

বন শহরের একটি রাস্তা

এই প্রথম কিছু একটা লক্ষ্য করলাম আমি। সেটা হলো ট্রাম স্টেশনের রং। সবুজ রং করা। আমি দেবারতি দিকে কারণ জিজ্ঞেস করলাম।

দেবারতি দিদি জানালেন, এখানে এক একটা ট্রাম স্টেশন একেক রঙের। কারণ কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের রঙ চেনানো হয় এগুলো দিয়ে। এভাবে তারা খুব সহজেই মনে রাখে।

দিদি টিকেট কাটলো না দেখে কারণ জিজ্ঞেস করলাম। জানলাম, অফিসের জব টিকেট থাকার কারণে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত এবং শনি, রবিবার ও সরকারি ছুটির দিনে একজন ফ্রি যেতে পারে এখানে। তবে অন্য সময় টিকেট কাটা বাধ্যতামূলক। ধরা পড়লে জরিমানা। যদিও মাসে হয়ত দুই-একবার চেক করে। কিন্তু সবাই এখানে এ ব্যাপারে ভীষণ সৎ। আমি টিকেট ছাড়া কাউকে ট্রামে বা ট্রেনে চাপতে দেখিনি এখানে।

জাহিদ ভাইয়ের বাসা মাত্র দুইটা স্টপেজ পরে। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এবার একটু চারপাশে ভালো করে তাকালাম। এত গাছ, সবুজ দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। অল্প একটু ইফতার করে আমি কখন ওখানেই ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই। পরে ট্যাক্সি করে দেবারতিদির বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

পরদিন সকালে অফিস। সেখান থেকে স্টাইনভেগে আমার নতুন অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গেলেন আমার বস গ্রেহেম লুকাস, যাকে আমি দাদু বলে ডাকি। ৬২ বছর বয়সি লুকাস ৩০ কেজি ওজনের লাগেজটি নিজের হাতে দোতলায় আমার ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে বললেন,"ভালো থেকো,খারাপ লাগবে জানি। কিন্তু মন খারাপ করো না।" 

অ্যাপার্টমেন্টটা ছোট, যাকে বলে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। একটা ঘর, সাথে কিচেন কেবিনেট আর বাথরুম। ভবনটির পেছনে বিস্তীর্ণ জমি। সোনালী আভা ছড়াচ্ছে ফসল। চারপাশে কোনো শব্দ নেই। কেমন বিষননতা ভর করল। বাসায় ফোন করে কথা বলে কিছুটা স্থির হলাম। স্টাইনভেগ জায়গাটায় এখনো গেলে সেই বিষন্ন দিনগুলোর কথা মনে পড়ে আমার।

জার্মানিতে কোনো অ্যাপার্টমেন্টে উঠলে লেটার বক্সে নাম থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ এখানে সব কাজের কাগজ আসে। অর্থাৎ যাবতীয় কর্মকাণ্ড,আয়-ব্যয়ের হিসাবের চিঠি। কিন্তু আমি সেটা জানতাম না বলে ভাবলাম আমার আর কী চিঠি আসবে। তাই নাম লিখিনি। ফলাফল আমার জব টিকেটসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিঠি এসে ঘুরে গেল এবং আমার অফিসকে জানালো, তারা আমাকে খুঁজে পায়নি।

আমি স্টাইনভেগে ছিলাম এক মাস। এই একটা মাস আমার ভীষণ নিঃসঙ্গতায় কেটেছে। অনেক লম্বা দিন। রাত ১১টাতেও অন্ধকার হয় না। সূর্য ওঠে ভোর সাড়ে তিনটায়। ঘুম ভেঙ্গে যায়,ভয় ভয় করে। ভীষণ একা লাগে।

ডয়চে ভেলেতে আমি একজন ফ্রি-ল্যান্সার সাংবাদিক। ওয়েব সাইটে লেখালেখি করা, ফেসবুক টুইটারে সেসব খবর দেয়া, ইউটিউবে কিছু ভিডিও আপলোড করা এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান অন্বেষণের উপস্থাপনা,যেটা একুশে টিভিতে দেখানো হয়।

ফ্রি-ল্যান্সার হওয়ার কারণে সপ্তাহের প্রতিদিন আমায় কাজ করতে হয় না। এখানে শনি,রবি সবারই ছুটি। বাকি পাঁচ দিন কাজ। আমাকে দুই-তিন দিন কাজ করতে হত। এসেই জানলাম সেই সপ্তাহের সোমবার আমার কাজ নেই। আমার বন্ধু আটু আছে ব্রেমেনে। ওরা বলল, ছুটি আছে,চলে আয়। ট্রেনে এই জায়গার নাম বলে টিকেট কেটে উঠে পড়।

জার্মানিতে সেন্ট্রাল স্টেশনকে বলে 'হপটবান হোফ'। আমি তখন সেটাও জানি না। এসেছি মাত্র দুই দিন। তাও সাহস করে পিঠে একটা ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লাম। কোন বাস কোথা থেকে সেন্ট্রালে যায় তাও জানি না। বাসস্টপে গিয়ে লিস্টে দেখলাম লেখা আছে বাসের নাম্বার আর কোথায় যাবে।

হঠাৎ দেখি সামনে দিয়ে একটা বাস চলে যাচ্ছে আমি সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করলাম। আসলে সেটা অন্য রুটের বাস,সেখানে থামার কথা না। আমি জানতাম না।

পাশে থাকা একটা ছেলে জিজ্ঞেস করল, কোথায় যাবে ? আমি জায়গার নাম বলায় সে বলল, সেও একই পথে যাচ্ছে। সেও একই বাসে যাবে।

৬০৬ নাম্বার বাসে উঠে বসলাম। স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাউন্টারে গিয়ে বললাম, এখনই ব্রেমেন যাবে এমন টিকেট দাও। যেহেতু আগে থেকে টিকেট কাটা নাই। তাই টিকেটের দাম ভীষণ চড়া। ৭১ ইউরো,অর্থাৎ প্রায় সাত হাজার টাকা। তখন বেলা ২টা। তিনটায় ট্রেন আসার কথা। স্টেশনে ঘোষণা করা হচ্ছে জার্মান ভাষায়।

সাড়ে তিনটার ট্রেন এল সাড়ে পাঁচটায়। তবে একটানে ৯টায় পৌঁছে গেলাম ব্রেমেন। স্টেশনে নেমেই দেখলাম আটু দাঁড়িয়ে আছে। এতটা খুশি মনে হয় জীবনে খুব কম সময়ই হয়েছি। ওর স্ত্রী আমার বান্ধবী সুহা। আর কয়েকদিন পরেই ওদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার কথা। তাই সুহার মা-ও এসেছেন। তাই ওদের বাড়ি গিয়ে ভীষণ প্রশান্তিতে গাঢ় ঘুমে ঢলে পড়লাম। (চলবে...)

লেখক: অমৃতা পারভেজ, এডিটর অ্যান্ড মডারেটর, ডয়েচে ভেলে, বাংলা বিভাগ; Amrita.modak81@gmail.com