বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে সরাসরি পাসপোর্ট ছাপিয়ে তা প্রবাসী আবেদনকারীদেরকে দেওয়া যায় কীনা, খতিয়ে দেখছে সরকার।
Published : 06 Nov 2015, 08:34 PM
বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পাসপোর্ট ছাপানো চালু করা যায় কীনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ভারতীয় ও ইন্দোনেশীয় দূতাবাসের কার্যক্রম পরির্দশন করেছে বাংলাদেশ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি দল।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম জিয়াউল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্যরা ২ থেকে ৫ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে এই পরিদর্শনে অংশ নেন।
এতদিন বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা দূতাবাসগুলোতে আবেদন করলে পাসপোর্ট বাংলাদেশ থেকে ছাপিয়ে নিয়ে আবেদনকারীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো।
পরিদর্শন দলে আরও ছিলেন এমআরপি এবং এমআরভি প্রজেক্টের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) মো. লুতফর রহমান, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সিলর নিজাম উদ দৌলা, মো. নুরুন নবী, আয়শা সিদ্দিক শেলী ও মো.ফারুক হোসেন।
প্রবাসীদের হয়রানি ও দুর্ভোগ লাঘবে বাংলাদেশ হাই কমিশনগুলোতে পাসপোর্ট প্রিন্টং কার্যক্রম চালু করতে চাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ লক্ষ্যে আরও কয়েকটি দেশের কার্যক্রম তারা দেখবেন জানিয়ে ডিজি বলেন, “কেননা পাসপোর্ট প্রিন্টিং কার্যক্রমের নিরাপত্তার বিষয়গুলোও আমাদের দেখতে হবে।”
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে সরকার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট দেওয়ার কথা চিন্তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নভেম্বেরের মধ্যেই ৯৫ শতাংশের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(এম আর পি)পেয়ে যাবেন।”
ইতোমধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের হাতে এম আর পি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জনগণকে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্যেই পাসপোর্ট অধিদপ্তর দূতাবাসগুলোতে পাসপোর্ট প্রিন্টিং কাযর্ক্রম চালুর চেষ্টা করছে।”
সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাই কমিশনই প্রথম পাসপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলে জানান হাই কমিশনার মাহবুব উজ জামান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের পাসপোর্টের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর মো. নুরুন নবী আরও এক বছর আগে এই বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করছেন। যার ফলে আমাদের স্বরাষ্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে একটি বোর্ড মিটিংয়ে অন্যান্য দেশের প্রিন্টিং কাযর্ক্রম পরিদর্শন করার জন্য এই কমিটি গঠন করেন।”
পরিদর্শন দল প্রিন্টিং ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো আরও খতিয়ে দেখতে চাচ্ছেন জানিয়ে খুব শীঘ্রই এই কাযর্ক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]