লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা ও আরেক প্রকাশকসহ তিনজনের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের প্রবাসীরা।
Published : 01 Nov 2015, 03:00 PM
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এক মানববন্ধনে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
গণজাগরণ মঞ্চের নিউ ইয়র্ক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।
এতে অংশ নেন সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, কবীর আনোয়ার, হাসান ফেরদৌস, শিতাংশু গুহ, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, ফাহিম রেজা নূর, স্বীকৃতি বড়ুয়া, আকবর হায়দার কিরন, মিথুন আহমেদ ও সুব্রত বিশ্বাস।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্রেটিক বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক এক যুক্ত বিবৃতিতে মুক্তমনা লেখক ও প্রকাশকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যাকাণ্ডে জামায়াত-শিবির জড়িত। অবিলম্বে এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়েই এহেন হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্রেটিক বাংলাদেশের সভাপতি ড. নূরন্নবী ও সদস্য সচিব জাকারিয়া চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক ড. এম এ বাতেন ও সদস্য-সচিব মশিউল আলম জগলু বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “একাত্তরের ঘাতকদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এদের মুখোশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্মোচিত করতে হবে প্রতিটি প্রবাসীকে।”
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের শুনানির আগে ২৭ অক্টোবর গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলোও গুরুতর অপরাধ করেছিল। তবে তাদের কারও বিরুদ্ধে তদন্ত হয়নি বা কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।”
এই সংস্থার তৎপরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে বড় ধরনের মানববন্ধন কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে বলে তারা জানান।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]