মৃত্যুর দুঃশ্চিন্তা করি না: হাসিনা

রাজনৈতিক জীবনে গ্রেনেড নিক্ষেপসহ একাধিক হামলায় বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যু নিয়ে কোনো দুঃশ্চিন্তা তিনি না করে প্রতিটি দিনই নতুন দিন হিসেবে ভাবেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2015, 06:12 PM
Updated : 1 April 2015, 06:12 PM

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মৃত্যুর দুঃশ্চিন্তায় ভুগি না।

“প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, আরেকটা দিন পেলাম। এই দিনটা আগে কাজে লাগাই, পরেরটা পরে দেখা যাবে।”

দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এক সম্পূরক প্রশ্নে বার বার প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশের জন্য হামলার কথা উল্লেখ করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিলে তার প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “স্বজন হারানোর বেদনা আর শোক বুকে নিয়ে মানুষের জন্য দেশে এসেছি। আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না। হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ, নেওয়ার মালিকও আল্লাহ। প্রতিক্ষণ মৃত্যুর ভয় নিয়ে আমাকে চলতে হলে দেশের এই উন্নতি আজ হত না।”

হামলার শঙ্কার বিষয়টি মাথায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার ওপর বার বার আঘাত এসেছে। ভবিষ্যতেও আসবে, প্রতিনিয়ত শুনছি। ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। এই নিয়ে আমার কোনো ভয়-দুঃখ নেই।

“খালেদা জিয়া, জামাতের- এতবার চেষ্টা করেও মারতে পারেনি। যতক্ষণ শ্বাস, আমার ততক্ষণ আশ। আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি, জনগণের জন্য কাজ করব।”

পঁচাত্তর ট্রাজেডির কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমারা বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে। এর জন্য দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি ’৭৫ সালের ঘটনা না ঘটত আরও ২৫ বছর আগে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হত।”

সব ভয় দলে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা পরিবার থেকে পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারেনি। আমি এটা শিখেছি ফ্যামিলি থেকে। জাতির পিতা শিখিয়েছেন- নেতৃত্ব দিতে হলে সাহস থাকতে হয়। সাহস নিয়ে জনগণের জন্য ঝুঁকি নিতে হবে। ঝুঁকি নিতে পারলে সফলতা আসে।

“এখানে কে কবে মারবে, কে করে পুড়বে, কতবার হামলা হল- ওই দুঃশ্চিন্তা যদি সারাদিন বুকে থাকে, তাহলে তো মানুষের জন্য কোনো কাজ করা যায় না।”