সিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জুমার নামাজের পর মেয়র মহোদয় হযরত আমানত শাহের মাজার জিয়ারতে যাবেন বিকাল ৩টায়। সেখান থেকে তিনি সিটি করপোরেশনে আসবেন।
“সেখানে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে তিনি নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যাবেন এবং মনোনয়নপত্র নেবেন।”
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন বুধবার রাতে মেয়র পদে মনজুর আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনজুরকে মেয়র পদে সমর্থনের ঘোষণা দেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।
বৃহস্পতিবারের বিএনপি নেতাদের বৈঠক শেষে মনজুর আলম জানান, পদত্যাগ ও মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে শুক্রবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গত বুধবার সিসিসির শেষ সাধারণ সভায় নিজের মেয়াদকালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ৫৭ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি করেন মনজুর।
প্রধান প্রতিশ্রুতি জলাবদ্ধতাকে ‘জলজটে’ নিয়ে এসেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৫ মে উচ্চ আদালত মেয়র পদকে ‘লাভজনক’ চিহ্নিত করে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন জানায়, ওই পদে থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করা যাবে না।
সিসিসির তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও পদ ছেড়ে প্রার্থী হন।
২০১০ সালের ১৭ জুন ওই নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক ‘গুরু’ মহিউদ্দিনকে ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মনজুর। এরপর ওই বছরের ২৬ জুলাই সিসিসি’র প্রথম সাধারণ সভা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই মনজুর আলমের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে ভোট হবে। এর আগে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সুযোগ আছে।