শনিবার ভোররাতে প্রথমে গুলশানের ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে তার সহকারী শামসুদ্দিন দিদার জানান।
পরে সেখানকার কেবল টিভি সংযোগের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে দাবি করেন বিএনপির গণমাধ্যম শাখার এই সদস্য।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কার্যালয়ের ভিতরে যে টেলিভিশন আছে তাতে ডিস লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। আমার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগও পাচ্ছি না।”
এর আগে রাত ২টা ৩৭ মিনিট থেকে ওই ভবন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “তারা বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে।”
ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে গত ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। চলতি মাসের শুরুতে ওই বাড়ি থেকেই সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
দুই সপ্তাহ আগে পুলিশ ওই বাড়ির সামনে থেকে সব ধরনের ব্যারিকেড সরিয়ে নিলেও সেখানেই থাকছেন খালেদা জিয়া।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন বিএনপি নেতার পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে আছেন।
রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ঘুম হয়নি বলে খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ জানিয়েছেন।
ভোর ৫টার দিকে নিজস্ব জেনারেটর চালু করে ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় বেলা ১টার দিকে তা বন্ধ করা হয়।