গভীর রাতে রিজভী গ্রেপ্তার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ঢাকার একটি বাড়ি থেকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব, যিনি অবরোধের শুরু থেকেই ‘অজ্ঞাত স্থান থেকে’ নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে দলের অবস্থান জানিয়ে আসছিলেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2015, 09:35 PM
Updated : 31 Jan 2015, 02:34 AM

সর্বশেষ শুক্রবার বিকেল ৫টায় দলের পক্ষে এক বিবৃতিতে অবরোধের পাশাপাশি সারাদেশে রোববার থেকে টানা তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

ওই ঘোষণার ১০ ঘণ্টার মাথায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে রুহুল কবির রিজভীকে বারিধারার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে পুলিশ তুলে নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

তবে চার দিনের মাথায় গভীর রাতে সেখান থেকে চুপিসারে বেরিয়ে যান তিনি। মূলত এর পর থেকেই গোপন স্থান থেকে বিবৃতির মাধ্যমে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন বিএনপির এই নেতা।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ হাসান রিজভীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক লিটন হায়দারকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “পার্ক রোডের একটি বাড়িতে তিনি লুকিয়ে ছিলেন। বাড়ি নম্বর ৯৮।”

ওই বাড়ির মালিকের পরিচয় বা তার পেশা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বাসাও বারিধারায় একই সড়কে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেন।

এই কর্মসূচির মধ্যে প্রতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালও ডাকছে বিএনপি জোট।

এসব কর্মসূচিতে সহিংসতা ও নাশকতায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৯ জনের।

অবশ্য শুক্রবার ৭২ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে রিজভীর দেওয়া বিৃবতিতে দাবি করা হয়, সরকারি এজেন্ট দিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে নাশকতা সৃষ্টি করার পর সরকার এর দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপাচ্ছে।