হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আমরাও তারেক রহমানের ফেরার অপেক্ষায় আছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং যুবলীগকর্মীরাও তাকে খুঁজছে। তিনি যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন, তত তাড়াতাড়ি তার বিচার শুরু করতে পারব।”
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের জন্মদিন বিএনপির ঘটা করে পালনের দুদিনের মাথায় শনিবার চট্টগ্রামে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুবজাগরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের জন্মদিনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটিয়ে তারেকের দেশে ফেরার পথ তৈরি করবেন তারা।
ছয় বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেকের বিরুদ্ধে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তারেকের জন্মদিন পালন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “তার ৫০তম জন্মদিন পালন হল। বিধাতার কী বিচার! সেদিন বিশ্ব স্যানিটেশন দিবসও পালন হল। কয়েকজন যুবলীগ নেতা আমাকে বিশ্ব স্যানিটেশন দিবস ব্যাখ্যা করতে বলেছেন।
“যদি চট্টগ্রামের ভাষায় নাও বলি। শুদ্ধ বাংলায় বলি। স্যানিটেশন দিবস মানে- টয়লেট দিবস। তারেক রহমান কে? তিনি হলেন- বাংলাদেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মৌলবাদের অন্যতম মদতদাতা। এমনভাবে তার জন্মদিন পালন হল, যেন সবাই মিলে দস্যু বনহুরের জন্মদিন পালন করছে।”
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে দেওয়া বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবও দেন হাছান।
“১৯৭৫ সালের ২ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাপ্রধান। ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড ঘটে ২ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে। আর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্ব অভ্যুত্থান হয় ৩ নভেম্বর দুপুর ২টায়।”
“অর্থাৎ জেল হত্যাকাণ্ডের সময়ও জিয়াউর রহমানই সেনাপ্রধান। তার নির্দেশেই সেদিন হত্যাকারীদের জেলখানার দরজা খুলে দেওয়া হয়। তার সংশ্লিষ্টতা ও সহযোগিতা ছিল।”
যুবলীগের এই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।