শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে একটি কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুব জাগরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
৪২ বছর আগে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তরুণরা ছাত্রলীগ ছেড়ে রাজনীতির পরবর্তী ধাপে যেতে চাইল।
“কিন্তু তখন আমাদের কোনো যুব সংগঠন ছিল না। তখন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ভাই যুবলীগ গঠনের প্রস্তাব দেন। তখন আমি ছাত্রলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক।”
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে সেসময় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে বির্তক হয় জানিয়ে আশরাফ বলেন, “তখন প্রশ্ন আসে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্রলীগের অবস্থান কী হবে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তারপর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হয়।
“সময়ের পরিক্রমায় যুবলীগ আজ বাংলাদেশের যুবকদের শ্রেষ্ঠ সংগঠন।”
গত বছর সেপ্টেম্বরে এই চট্টগ্রামে টেন্ডার নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এক শিশু নিহত হয়। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, “কথা নাই, বার্তা নাই- ছাত্রলীগ-যুবলীগ। কেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ কী করেছে?”
কয়েকটি সংবাদপত্র শুধু নেতিবাচক ঘটনার খবর প্রকাশ করে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সমালোচনা প্রশংসার নামান্তর। কিন্তু তাদের কাছে শুধু বিসর্জন পাবেন। অর্জন পাবেন না। নেতিবাচক সংবাদই তাদের কাছে সংবাদ। ইতিবাচকটা নয়।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সংঘবদ্ধ কর্মসূচি পালন করতে হবে। তাই আজ এ আয়োজন।
“আপনাদের সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী প্রয়োজন। লক্ষ লক্ষ লোক থাকতে পারে, কিন্তু সুশৃঙ্খল না হলে সাফল্য আসবে না।”
যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুরুতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মেজবান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও পরে কেন্দ্রের নির্দেশে সে কর্মসূচি স্থগিত করে ‘যুব জাগরণে’র আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।