মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা তো দেওয়াই আছে। সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্য করায় ৭৭ বছর বয়সী লতিফের বিরুদ্ধে এদশের বিভিন্ন আদালতে অন্তত তিন ডজন মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি আদালতের সমনে হাজির না হাওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার সারা দেশে হরতালও করেছে কয়েকটি ইসলামী দল।
তার ওই নিয়ে মন্তব্য নিয়ে সারা দেশে তুমুল আলোচনার মধ্যেই গত ১২ অক্টোবর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২৪ অক্টোবর তাকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে না ফিরে লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতে। দেশে ফিরতে না পারলে কলকাতা বা শান্তি নিকেতনে থাকতে চান বলেও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা লতিফ বলেছেন, দেশে ফিরতে না পারলে ‘বাঙালি পরিবেশেই’ তিনি থাকতে চান।