বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, “বিএনপির রাজনীতি ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে ভরা। তারা এই দুটি জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতি করছে। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার সংগঠনের আড়ালে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করে।
“তারই প্রমাণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে দিয়ে র্যাব ভেঙে দেয়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করানো।”
বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র্যাবকে ভেঙে দিতে গত ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওই চিঠি দেয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ), যাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৮০০ হত্যাকাণ্ডের জন্য ওই বাহিনীর সদস্যদের দায়ী করা হয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এইচআরডব্লিউর অভিযোগ নাকচ করে তাদের এ মুহূর্তে গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর স্মরণসভায় হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ‘প্রভুদের’ মন রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “তারেক জিয়া সাইদীর পুত্রের সঙ্গে পবিত্র মদিনায় বসে অপবিত্র ষড়যন্ত্র করছে।”
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনি সিঙ্গাপুরে যান, মদিনায় যান; পারলে বাংলাদেশে আসেন। এসে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আপনাদের ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে গেছে।”
বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত এ স্মরণসভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে’ ঊনিশশ পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর পর চার নেতাকে হত্যা করা হয়। আবার অরাজনৈতিক পথে আন্দোলন হলে জনগণ তার ‘দাঁতভাঙা’ জাবাব দেবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় কিছু ‘অমু্ক্তিযোদ্ধার’ নামও যুক্ত হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হবে। অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বলরাম পোদ্দার, শাহ আলম মুরাদ ও দেশরত্ন পরিষদের সভাপতি শ্রী চিত্তরঞ্জন দাস স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন।