বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই ভবন ধসে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি যাদের অবহেলায় সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও চেয়েছে তারা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। ওই ভবনে পাঁচটি কারখানা ছিল।
রানা প্লাজা ধসের বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল।
সহযোগী সংগঠনের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থান এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, “এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ও আহত পঙ্গু শ্রমিকদের ৭০ ভাগ বেকারত্বের জীবন-যাপন করছে। রানা প্লাজার যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ও বিজেএমইএ’র প্রতি দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
তাদের কর্মসংস্থান ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্র না দিতে পারলে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে, বলেন বিএনপি নেতা।
“যতটুকু জানা গেছে, ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ১২৮ কোটি টাকা জমা হয়েছে। পত্রিকার খবরে এসেছে, এ পর্যন্ত ২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। তাহলে আর অর্থের কী হল? আমরা দাবি করছি, কত অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হোক।”
ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, “রানা প্লাজা ধসের পর অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে বলেছিলেন, সরকার নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন, সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকার করবে। এখন সরকার ওই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কী বলবে?”
রানা প্লাজায় ধস তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিও জানান রফিকুল।
পোশাক শিল্পের দুর্ঘটনা রোধে শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই শিল্প স্থাপনের ছাড়পত্র দেয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদারকি জোরদার এবং শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেন তিনি।
মানববন্ধনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, রফিক শিকদার, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহও বক্তব্য রাখেন।