স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করতে আইন সংশোধনের কথা বলার একদিন পর সংসদে ভিন্ন কথা বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
Published : 04 Mar 2014, 10:50 PM
মঙ্গলবার সংসদে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সব পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে দলীয়ভাবে নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই উত্তর দেন তিনি।
একদিন আগেই ঢাকার মিরপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আশরাফ বলেছিলেন, আগামীতে উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও দলীয়ভাবে করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধন করা হবে।
মঙ্গলবার মন্ত্রীর এ প্রশ্নোত্তর সংসদে উত্থাপিত হলেও অন্তত ১৫ দিন আগে তা তৈরি করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন প্রত্যাহার বা স্থগিতকরণের বিষয়ে ৫০ ধরায় বলা হয়েছে, প্রশ্ন-উত্তর তালিকাভুক্ত হলে সে দিনের বৈঠকের আগে নোটিস দিয়ে তা স্থগিত করতে পারবেন।
৫২ ধারা অনুযায়ী, প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে তালিকাভুক্ত তারকাচিহ্নিত ও লিখিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত বলে গণ্য হবে।
ডিসিসি ভোটের দায়িত্ব ইসির
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কবে হবে, তা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জবাবে আশরাফ বলেন, আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন প্রণীত বিধি অনুসারে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের আয়োজন, পরিচালনা ও সম্পাদন করবে।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলাম সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চান, বিগত কয়েক দশক ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচন না হওয়ার কারণ কী?
জবাবে আনিসুল হক বলেন, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণের বিধান রয়েছে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি বলে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি জানান, সরকার সময়সীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করলে নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।