শনিবার সোনারগাঁও হোটেলে এই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন,জাতিসংঘ মহাসচিবের দূতের এই সফর সফল হবে বলে তিনি আশা করছেন।
দেড় ঘণ্টার বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি জানিয়ে আশরাফ বলেন, এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। তারানকোর সঙ্গে তাদের আরো বৈঠক হবে।
চার দিনের এই সফরে বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও তারানকোর বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি।
তারানকোর সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ রেজা, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় আসা তারানকো সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে নিজের কর্মসূচি শুরু করেন।
মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বিকাল ৪টার দিকে গণভবনে যান জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব।
নির্বাচনকে ঘিরে রাজপথে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে তার এই সফরকে দেখা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মধ্যস্ততার শেষ উদ্যোগ হিসেবে।
তারানকোর এবারের সফর নিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নিল ওয়াকার এর আগে এক বিবৃতিতে বলেন, “আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সংলাপে বসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে উৎসাহিত করবেন তিনি।”
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে বান কি-মুনের দুটি চিঠিও তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব।
এরপরে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় প্রধান দুই নেত্রীকে চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, যাতে সঙ্কট সমাধানে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।