এতিমখানা ট্রাস্ট: খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন পেছালো

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি আবারও পিছিয়ে গেছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2017, 08:17 AM
Updated : 8 May 2017, 09:46 AM

সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ মামলার শুনানির জন্য ১৫ মে নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন।

আদালত বদলের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়ার করা সময়ের আবেদন বিচারক প্রথমে নাকচ করে দিলেও পরে আইনজীবীদের পুনর্বিবেচার আবেদনে শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেন।    

খালেদার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, সকাল সোয়া ১০টায় গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার পর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে পৌঁছান বিএনপি চেয়াপারসন। 

“ম্যাডাম খুবই অসুস্থ অবস্থায় আদালতে আসেন। তার হাঁটুতে আর্থারাইটিসের প্রচণ্ড ব্যথা। আদালতের সামনে গাড়ি থেকে নামতে তার বেশ কষ্ট হয়,” বলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

আদালত কক্ষে পৌঁছালে খালেদা জিয়াকে একটি চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়। পরে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার আদালতকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলেন এবং হাই কার্টে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়ে তিন সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেন।

কিন্তু বিচারক সময়ের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেন, সোমবারই আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি হবে। এরপর খালেদার আইনজীবীরা আদেশ পুনর্বিবেচার আবেদন করলে বিচারক শুনানি পিছিয়ে দেন।  

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থার আবেদন বিশেষ জজ আদালতে নাকচ হওয়ার পর ফের আদালত পরিবর্তনের জন্য গত ২৬ এপ্রিল হাই কোর্টে ওই আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। 

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আগে এ মামলার বিচারের দায়িত্বে থাকলেও খালেদার অনাস্থার আবেদনে হাই কোর্ট গত ৮ মার্চ বিচারক বদলে কামরুল হোসেন মোল্লাকে দায়িত্ব দেয়।

খালেদার আদালত বদলের আবেদনে বলা হয়, “এ মামলার এখন যিনি বিচারক, তিনি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুদকের আইন শাখার পরিচালক ছিলেন। এ মামলার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি দুদককে মতামত দিয়েছেন। সুতরাং তার কাছে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।”

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান আছেন দেশের বাইরে।

এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।