কওমির স্বীকৃতিতে বিএনপির ‘গায়ে জ্বালা’

আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় বিএনপির ‘গায়ে জ্বালা’ ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 02:59 PM
Updated : 22 April 2017, 02:59 PM

শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “কওমি মাদ্রাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এতদিন তাদের কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই বিএনপির গায়ে জ্বালা, তারা খুশি হতে পারেনি।

“কারণ এর ফলে ইসলামপন্থি সব দলে জননেত্রীর প্রতি আস্থা আসবে। বিএনপি-জামায়াত ভোটের রাজনীতিতে ফায়দা লুটতে চায়, তাই তারা খুশি নয়।”

গত ১১ এপ্রিল গণভবনে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীসহ কওমি মাদ্রাসার ওলামাদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য অপসারণে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে স্নাতকোত্তরের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এর কয়েকদিনের মধ্যে কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিএনপি নেতারা বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

গণজাগরণ আন্দোলন, শিক্ষা নীতি ও নারী নীতির বিরোধিতাকারী হেফাজতের বিরুদ্ধে সরকারের মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার কথা তুলে ধরে তারা বলছেন, কট্টর এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে এখন তাদের ঘনিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের দ্বিচারিতা। 

প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা মুখে ধর্মের কথা বললেও তাদের অন্তরে ‘ধর্ম নেই’।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যে গোলাম আযম সারা জীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল তাকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসার পর মতিউর রহমান নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী করেন।”