ফখরুলের ভাষায় আওয়ামী লীগ যা ‘ভালো পারে’

কয়েক বছর ধরে হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে আসার পর এখন তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দ্বিচারিতার প্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2017, 12:02 PM
Updated : 7 May 2017, 03:39 PM

তিনি বলেছেন, “কথায় এক রকম, আবার কাজে আরেক রকম, আওয়ামী লীগ যেটা সুন্দর পারে আর কী। পিটিয়ে-পুটিয়ে বলে যে আসো তোমাদের সাথে বন্ধুত্ব করি, ভালোবাসা করি।”

গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের নানা কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে আসা বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে ফখরুল বলেন, “আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড করি না। এগুলোর মধ্যে আমরা সহজে যাই না।”

২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর পর তার বিরোধিতায় নামা হেফাজতের নারী বিদ্বেষী নানা বক্তব্যের জন্যও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনায় পড়ে। তখন বিএনপির সমর্থন ছিল হেফাজতের কর্মসূচিতে।

গত সপ্তাহে হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণে তাদের দাবি মেনে নেন, যা কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠীটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্য হিসেবে দেখছে বিএনপি।

মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব ফখরুল।

হেফাজতের কর্মসূচিতে সমর্থনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, “হেফাজতে ইসলাম তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে সবগুলো দাবি নয়, কিছু কিছু দাবি আমরা যুক্তিসঙ্গত মনে করেছিলাম, আমরা সেগুলোতে সমর্থন দিয়েছিলাম।”

কওমির সনদের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি যে, মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিক করা দরকার। তারা যেন ওয়ার্কিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে, সেজন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে চাই। এটাই আমাদের অবস্থান।”

এ নিয়ে আওয়ামী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি- এটা আমাদের সরকারের সময়ে গেজেট নোটিফিকেশন হয়ে গিয়েছিল। এটাকে আবার নতুন করে বিভিন্নভাবে বশটস করে তারা চেষ্টা করছেন, এখন তাদের (হেফাজত) সঙ্গে চেষ্টা করছেন একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবার।

“কাজটা উনারা (সরকার) এখন করলেন বিরাট ঢাকঢোল পিটিয়ে। হেলিকপ্টারে দিয়ে উনারা উড়িয়ে নিয়ে আসলেন, নিয়ে এসে গণভবনে মাওলানা শফীকে এবং অন্যদেরকে পাশে বসিয়ে সুন্দর করে খাবার-দাবার তুলে দিয়ে করলেন।”

“ভালো কথা। হসপিটালিটি- আমাদের বাঙালির একটা ঐতিহ্য, সুন্দর কথা। কিন্তু কী করলেন? যেটা অতীতে হয়ে গেছে।”