বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আবেদন বৃহস্পতিবার বিকালে ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
আসাদুল করিম শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবার নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য অডিট রিপোর্ট জমা দিতে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চেয়ে সিইসির কাছে আবেদন দিয়েছি আমরা।”
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দলের বার্ষিক আর্থিক লেনদেনের হিসাব জমা দিতে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বাসদ ও বিজেপি ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এনপিপিও সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
তারা জানান, রোববার অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন।ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্তত এক ডজন দল ২০১৫ সালের লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বলেন, নিবন্ধিত ৪০ দলকে রেজিস্টার্ড চাটার্ড ফার্ম দিয়ে অডিট করতে হবে। প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহর থাকতে হবে।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে।