ভোটে তাণ্ডব চলছে, ‘নির্বিকার’ ইসি: বিএনপি

তৃতীয় ধাপের নয় পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ অন্যান্য অনিয়ম চলছে অভিযোগ করে বিএনপি বলছে, এসব ঠেকাতে ‘কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না’ নির্বাচন কমিশন। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 09:25 AM
Updated : 25 May 2016, 09:25 AM

বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মতোই পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব অব্যাহত আছে। সেই তাণ্ডবের পরও নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকার খবর আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচ্ছি।

“ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির এতো সব মহাযজ্ঞের পরেও কোনো রকম গণতান্ত্রিক সৌজন্যের তোয়াক্কা না করেই আজকেও হয়তো নির্বাচন কমিশন বলবে, আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে আজকের নির্বাচন আরও সুষ্ঠু হয়েছে। যেমন তারা প্রতিবার বলে থাকে। নির্বাচন কমিশন যেন সরকারের খাঁচাবন্দি পাখি। তার যেন কিছুই করার নেই, শুধু সরকারের নির্দেশ মান্য করা ছাড়া।”

তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, লক্ষ্মীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, নোয়াখালীর সদর ও সেনবাগ, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ ও খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায় ভোট হচ্ছে।

এরইমধ্যে নোয়াখালী সদর, ছাগলনাইয়া ও কসবায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে থবর আসছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারছে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রগুলো বহিরাগতদের দিয়ে ঘেরাও হয়ে আছে।

“এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই যে জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মধ্যে চমৎকার ‘হানিমুন’ নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে আমরা দেখেছি।”

যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ‘দূরভিসন্ধিমূলক’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, “এই সরকার গণবিচ্ছিন্ন সরকার বলেই দেশনেত্রী, যিনি হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তাকে ভয় পেয়ে এই বেআইনি, দুর্বিনীত কাজগুলো করছে, যাতে তিনি (খালেদা জিয়া) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

“কিন্তু এটি তাদের ভুল ধারণা। উনার উপস্থিতি দেশে লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। কোনো কারাগারই উনাকে বন্দি করে রাখতে পারবে না।”

নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা জামাল শরীফ হীরু, মাহবুবুর রহমান শামীম, আবদুল আউয়াল খান, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।