নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে।
তৃতীয় ধাপের এ ভোটে নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, লক্ষ্মীপুরের সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, নোয়াখালীর সদর ও সেনবাগ, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ ও খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে।
সকালে ভোট শুরুর দুই ঘণ্টার মাথায় ফেনীর ছাগলনাইয়ায় গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজির খবর দিয়েছেন আমাদের জেলা প্রতিনিধি।
ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে জালভোট দেওয়ায় ৭০টি ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়েছে।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালীতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট চলছে বলে আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকেই কসবার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা গেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার এলাকায় কোনো গোলযোগ ঘটেনি।
জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “কেউ যেন ভোটদান বাধাগ্রস্ত করতে না পারে তা আমরা নিশ্চিত করব।
কসবা পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৭১ জন।
নোয়াখালী ও সেনবাগ পৌরসভাতেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলার খবর দিয়েছেন আমাদের জেলা প্রতিনিধি।
এর মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভায় ৬৬ হাজার ১ শত ৩৩ জন এবং সেনবাগ পৌরসভায় ১৩ হাজার ৮ শত ৯৮ জন ভোটার রয়েছেন।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ভোট হচ্ছে দলীয়ভাবে।
রাজীব আহসান জানান, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে আগের দিনই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ভোটের সামগ্রী। নির্বাচনী এলাকায় চলছে সাধারণ ছুটি।
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এসব নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের ৩৮টি দল ও ১২ প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা।
দুই পর্বের ফল
পৌর নির্বাচনের প্রথম পর্বে গত ৩০ ডিসেম্বর ২২৭টি পৌরসভায় ভোট হয়। তাতে আওয়ামী লীগ ১৭৭টি ও বিএনপি ২২টিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছে। জাতীয় পার্টির একজন মেয়র হয়েছেন। এছাড়া ২৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র হন, যার ১৮ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
দ্বিতীয় পর্বে গত ২১ মার্চ ভোটে ১০ পৌরসভার সবকটিতে জয় পান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
ভোট তথ্য
এবার ৯ পৌরসভায় প্রার্থী মেয়র ২৭ জন ও সদস্য ৪১৩ জন। এর মধ্যে দলীয় ২১ জন ও স্বতন্ত্র ৬ জন। সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩১৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ৭০ জন।
মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৩টি, ভোটকক্ষ ৮৭৯টি।
ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৫১ জন; পুরুষ ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৫ জন ও নারী ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৬ জন।
রায়পুরা পৌরসভায় ৫ জন মেয়র ও ৩৮ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঘোড়াশাল পৌরসভায় ২ জন মেয়র ও ২১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর পৌরসভায় ২ জন মেয়র ও ৬৭ জন কাউন্সিলর, কসবা পৌরসভায় ২ জন মেয়র ও ৩৫ জন কাউন্সিলর, নোয়াখালী পৌরসভায় ৩ জন মেয়র ও ৪৮ জন কাউন্সিলর, সেনবাগ পৌরসভায় ৪ জন মেয়র ও ৪৬ জন কাউন্সিলর, ছাগলনাইয়া পৌরসভায় ৩ জন মেয়র ও ৪৬ জন কাউন্সিলর, টেকনাফ পৌরসভায় ২ জন মেয়ার ও ৩১জন কাউন্সিলর এবং রামগড় পৌরসভায় ৩ জন মেয়র ও ৫৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।