নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের বিলাসী জীবন যাপনের অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
জয়কে প্রাণনাশের চক্রান্তের মামলায় বিএনপি ঘনিষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ৩০ এপ্রিল এক সভায় খালেদা যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যাংক একাউন্টে শেখ হাসিনাপুত্রের নামে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে বলে দাবি করেন।
জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডের রায়ে এই অর্থের উল্লেখ রয়েছে বলে তার দাবি।
জয়কে আটক করে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবিও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
অবশ্য এরই মধ্যে এর জবাব দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, “ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।”
এ প্রসঙ্গে বুধবার পলক লেখেন, “ইতোমধ্যেই ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। খালেদা জিয়া এখনও জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জটি নিতে পারেননি। তিনি পারবেনও না।
“এমনকি যিনি নিজের প্রয়াত স্বামীর নামে এতিমদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ মামলায় জড়িত থাকার মতো অপরাধে বিচারাধীন রয়েছেন; তিনি আর যাই হোক, জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো সৎসাহস রাখেন না।
“চরিত্র হননে আপনারাই সারা জীবন ব্যস্ত থেকেছেন, আগামীতেও যে থাকবেন, তা অন্য সকল বাঙ্গালীর মতো আমিও জানি। পরের চরিত্র হনন করতে গিয়ে বারবার আপনার চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করে পলক লেখেন, “তারেক জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে কীভাবে বিলাসী জীবন যাপন করছেন, সেই অর্থের উৎস কি? অন্য সাধারণ দশজনের মতো আমি সে অর্থের বৈধ উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর আছে কি?
“আমার প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে পারবেন না, তা আমি জানি। কিন্তু আপনার কাছে আমার অনুরোধ, জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আপনার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ দিন। সকল মিথ্যা নিশ্চয় পরাজিত হবে, সত্যের জয় অনিবার্য।”