বুধবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ থেকে আগাছা নির্মূল করার কথা বলেছেন। তার এই উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি। যদি উনি অনেক আগেই উদ্যোগ নিতেন তাহলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ত না, দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হত না।
“আমরা চাই- কেবল ছাত্রলীগ নয়, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকেও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ থেকেও আগাছা-পরগাছা নির্মূল করার জন্য সচেষ্ট হবেন।”
সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার পরদিন এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ছাত্রলীগ থেকে আগাছা নির্মূল করতে হবে।
নাটোর জেলা সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি ওই সংবাদ সম্মেলন করে।
রিপন অভিযোগ করে বলেন, “রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীন দলের বিবদমান গ্রুপের ঘটনায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নাটোর সদরের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের আজ্ঞাবহ পুলিশ প্রশাসন। ওই এমপির নির্দেশে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার এবং স্থানীয় প্রশাসন ‘রাজনৈতিক কর্তৃত্বে’ যেসব কর্মকাণ্ড করছে তারও নিন্দা জানান তিনি।
রিপন বলেন, “নাটোরের মতো সারাদেশেই শাসকদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিরাজ করছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে তারা পদে পদে বাধা দিচ্ছে। গতকাল ১ সেপ্টেম্বর আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিও বিভিন্ন জেলায় করতে দেয়নি।”
অতিবৃষ্টিতে রাজধানীতে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তা দূর করতে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রের কঠোর সমালোচনা করেন রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম, পৌর মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ একরামুল আলম, আবদুল আজিজ, শামীম আল রাজি, শহীদুল্লাহ সোহেলসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।