ছাত্রলীগ ‘এতিমদের’ সংগঠন: নাজমুল

সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সামনে নিজের খেদ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।   

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2015, 07:19 AM
Updated : 25 July 2015, 12:20 PM

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনের ২৮তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের প্রতিবেদন ‍তুলে ধরে নাজমুল আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “ছাত্রলীগ এতিমদের সংগঠন। ছাত্রলীগ পলিটিক্যালি এতিমদের সংগঠন।

“কেউ ছাত্রলীগের খোঁজ-খবর রাখে না। নেত্রী (শেখ হাসিনা) আপনি ছাড়া ছাত্রলীগের কেউ খোঁজ রাখেন না।”

এসময় মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি ছাত্রলীগ থেকে বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও ছিলেন মঞ্চে।

ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাবেক নেতাদের তৎপরতার কথা উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, “সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেকের ব্যক্তিত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর দুধের মাছিরা আবার দুধে মিলিয়ে যায়।”

ছাত্রলীগের ২৭তম সম্মেলনে সংগঠনটির সাবেক নেতা সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, “ছাত্রলীগ থেকে যেমন বীর নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিশ্বাসঘাতকেরও সৃষ্টি হয়েছে।”

আশরাফের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে নাজমুল বলেন, “আমি আশরাফ ভাইয়ের কথার প্রথমটা হতে চেয়েছি।”

এসময় মঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকা আশরাফ তাকিয়ে ছিলেন নাজমুলের দিকে।

সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ‘অনুপ্রবেশকারীরাই’ গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবর পরিবেশন করে বলে দাবি করেন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো এই সংগঠনের এই নেতা।

নাজমুল আরও বলেন, ছাত্রলীগ কখনও কখনও ‘কলম সন্ত্রাসের’ শিকার হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় হল দখল, দরপত্র নিয়ে সন্ত্রাসের নানা ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ছাত্রলীগকে।

নাজমুল বলেন, বিভিন্ন সময় অনুপ্রবেশকারীরা সংগঠনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। গত চার বছরে ৬০০ সদস্যকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চার বছরে দায়িত্ব পালনে সংগঠনের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তার দায় নিজের বলে স্বীকার করে নেন নাজমুল।

সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপততিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জয়দেব নন্দী এবং অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল কাদের মহিউদ্দিন মাহী বক্তব্য রাখেন।

শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল। শোক প্রস্তাবের পর সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এর আগে শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।