ভারতীয় কর্মকর্তারা বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসী ওই হামলায় নিজের ভূমিকার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন মেমন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়া পর মেমনের ফাঁসি কার্যকর করার সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইজুড়ে ধারাবাহিক ১৩টি বোমার বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত ও ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন। এই হামলা পরিকল্পনায় অর্থের যোগান দিয়েছিলেন মেমন।
বিচারে দোষী সাব্যস্ত মেমনকে মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ টাডা আদালত ২০০৭ সালে মৃতুদণ্ডের শাস্তি দেয়।
রায়ের বিরুদ্ধে মেমন মুম্বাই হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও রায় বহাল থাকে। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে জানানো প্রাণভিক্ষার আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়।
৫৩ বছর বয়সী ইয়াকুব মেমন মুম্বাই হামলার ঘটনায় পলাতক অপর অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আসামি টাইগার মেমনের ভাই।