সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড ২০১৭ সালে: তথ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকদের বেতন-ভাতায় নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনে কাজ শুরু হলেও কিছু আইনি প্রক্রিয়া সংশোধনের কারণে তা আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2016, 01:26 PM
Updated : 15 Nov 2016, 01:26 PM

ছাপানো সংবাদপত্রের কর্মীদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের এবারের ওয়েজ বোর্ডে যুক্ত করতে যাওয়ায় এই সময় লাগছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ইনু বলেন, “নবম ওয়েজ বোর্ডে আগে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটা কোনো কঠিন কাজ নয়, এর জন্য কোনো বিলম্বও হবে না। এটা একটি আইনগত ব্যাপার

“কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই আইনটা সংশোধন করতে হলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুরা এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের কিভাবে ‘স্পট’ ঠিক করতে হবে। সেই জিনিসটা ঠিক করে দিতে হবে।”

রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র কর্মীদের বেতন-ভাতার স্তরবিভাজনের মতো করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন স্তরে কর্মরত সাংবাদিকদের স্তর বিভাজন করার প্রসঙ্গেও বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমরা যখন ওয়েজ বোর্ড দেই, যেমন পত্রিকায় যারা কাজ করেন সেখানে কিছু ঢাকা থেকে প্রচার হয়, জেলা থেকে হয়, বিভাগ থেকে হয়। একেক জনের একেক রকম মজুরি। কে ‘ক’, কে ‘খ’- এগুলো উনারা জানেন, সবাই জানেন।

“সুতরাং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভাজনটা কিভাবে হবে, সাংবাদিকদের আমি কিভাবে স্তরে সাজাব এবং ওখানে যারা ফটো সাংবাদিক আছেন- তাদের আমি কিভাবে দেখব? তারপর ওখানে বিভিন্ন কর্মচারী আছেন, তাদেরকে কিভাবে দেখাব?”

এসব বিষয় নিষ্পত্তির করতে আলোচনা শুরু হয়েছে জানিয়ে জাসদ নেতা ইনু বলেন, “আশা করি আলোচনায় নিষ্পত্তি হবে এবং তার ভিত্তিতে আমরা ওয়েজ বোর্ডে যাব।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্য মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে নবম ওয়েজ বোর্ড দেওয়ার পক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই (আলোচনা) অনুযায়ী এই ওয়েজবোর্ড তৈরি করা এবং কার্যকর করার জন্য সাংবাদিক ছাড়াও আরো দুটি পক্ষ আছে- কর্মচারী ও মালিক পক্ষ।”

ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে মালিক পক্ষকে সভায় আহ্বান জানানো বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ওয়েজ বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়াতে হাত দিয়ে ফেলেছি আমরা; আর ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে কিভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আইনটা সংশোধন করা যায় সেটাও আমরা পর্যালোচনা শুরু করেছি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শ্রম দিচ্ছেন।

“আশা করি আমরা উভয়পক্ষ একমত হয়ে এই বিষয়টা সংশোধন সাপেক্ষে আসল ওয়েজ বোর্ডের কাজে হাত দিতে পারব। এর জন্য কিছু সময় লাগছে; সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন। তবে মূল কথা আমরা ইনশাল্লাহ ২০১৭ সালে আইনও সংশোধন করে ফেলব, ওয়েজ বোর্ডও দিতে পারব।”

সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাবান মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।