রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাইকার বাংলাদেশের প্রধান মিকিও হাতায়েদা মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের হাতে এই সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে জাইকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় তারা এই সার্টিফিকেট দিয়েছে।
পোলিও নির্মূলে যারা মাঠ পর্যায়ে অবদান রেখেছেন তাদেরও এসময় ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বরের পর বাংলাদেশে ‘ওয়াইল্ড পোলিওভাইরাসের’ কোনো সংক্রমণ ঘটেনি।
স্থাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮ বছর পোলিওমুক্ত থাকার পর ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি সদস্য দেশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘পোলিওমুক্ত' ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী সরকার ২০১৫ সালের ২১ মার্চ থেকে নিয়মিত ইপিআই কার্যক্রমে সব উদ্দিষ্ট শিশুকে ওপিভি টিকার পাশাপাশি এক ডোজ আইপিভি ভ্যাকসিন দিচ্ছে।
পোলিও নির্মূল কার্যক্রমে চূড়ান্ত সফলতার উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কৌশলের আওতায় ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ ট্রাইভ্যালেন্ট ওপিভির পরিবর্তে বাইভ্যালেন্ট ওপিভি চালুর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।