রোববার রাতে অভিনেতার ছোট ছেলে চিত্রাভিনেতা সম্রাট তার বাবা ‘আশঙ্কামুক্ত’ বলে জানান। সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর রাজ্জাকের সার্বিক অবস্থা জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসক শাগুফা আনোয়ার জানান, রাজ্জাকের রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে তারা কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রেখেছেন।
৭৩ বছর বয়সী রাজ্জাক শুক্রবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হন।
ডা. শাগুফা বলেন, “এক পর্যায়ে তার শ্বাসের স্বল্পতা ও মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছিল। তখন চিকিৎসকদের পরামর্শে শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের আওতায় নেওয়া হয়।"
শাগুফা জানান, রাজ্জাকের চিকিৎসায় রোববার হাসপাতালের বক্ষব্যাধি, মেডিসিন, হৃদরোগ, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি মেডিকেল বোর্ড। এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্জাককে ভেন্টিলেশনের আওতায় রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাগুফা আরও বলেন, রাজ্জাক হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় ভুগছেন আর ক্রমাগত ধূমপানের অভ্যাস থাকায় তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজ্জাকের খোঁজ নিতে এসেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।