'প্রত্যাশা ছাড়ানো হবে ইনদালোর বৈশিষ্ট্য'

ব্যান্ড সংগীতের জগতে ইনদালোকে নবজাতকই বলা চলে। প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন বছরে কয়েকটি মিউজিক ভিডিও, আর কিছু কনসার্ট, লাউঞ্জে পরিবেশনার অভিজ্ঞতা। তবে ব্যান্ডের পেছনে যারা রয়েছেন, তারা অভিজ্ঞতার রসে সিক্ত। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরোনো ধাঁচ ভেঙ্গে নতুনকে গড়তে চান তারা।

চিন্তামন তুষারচিন্তামন তুষারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2015, 05:43 AM
Updated : 14 May 2015, 02:50 PM

ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা জন কবির গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তুলে ধরলেন নতুন এই ব্যান্ডের ইতিবৃত্ত।

গ্লিটজ: ইনদালোর জন্ম হলো কিভাবে?

জন কবির: আমার প্রথম ব্যান্ড ব্ল্যাক ছাড়ার প্রায় দেড় বছরে প্রফেশনাল লেভেল মিউজিকে একদমই ছিলাম না আমি। এ সময়টাতে আমি বাসায় বসে প্রচুর গান শুনেছি, কনসার্টে গিয়েছি। এরই এক পর্যায়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু যুবায়েরের (যুবায়ের হাসান) ডাকে তার বাসায় গিয়ে বসতে শুরু করলাম। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই বসতাম। অ্যাকুয়িস্টিক গিটার নিয়ে আমাদের ফেভারিট ব্যান্ডগুলোর গান কাভার করা, একদম যা ইচ্ছে হতো তাই করতাম। আর নিজেরাই ফিল করতাম, ‘আরে আমরা গানগুলো গাইতে পারি, বাজাতে পারি!’ বিশাল ব্যাপার। এরই মধ্যে একদিন লক্ষ্য করলাম, আমি যুবায়েরের বাসায় ঢুকেছি সকাল ১১টায়, বের হচ্ছি রাত ১২টায়। একদিন আড্ডা দিতেই দিতেই একটা গানও তৈরি হয়ে গেল। কিছুটা সচেতন হলাম তখন। বুঝলাম, নিজেদের মধ্যে এমন কিছু একটা ঘটেছে; অপরিকল্পিতভাবে। বলা যাচ্ছে না, কিন্তু ঘটে গেছে! অনুভূতিটা ছিল দারুণ, জীবনের সেরা অনুভূতি বলতে হয়।

গ্লিটজ: আপনার সঙ্গে কে কে আছেন?

জন কবির: ব্যান্ডের উদ্যোক্তা মূলত আমি আর যুবায়ের। বেইজিস্ট টিটু (রফিকুল আহসান টিটু) আমাদের বন্ধু। যুবায়েরের সঙ্গে তার একটা ব্যান্ড ছিল আসর নামে। ব্ল্যাকেও আমাদের সঙ্গে ছিল শেষদিকে। আমাদের সাংগীতিক রুচি একই ধরনের। সবার আগে তাকে ডাকতেই রাজী হয়ে গেল সে। এরপর ডিওর (ডিও হক) ব্যাপারটা! আমাদের প্রয়োজন ছিল ওর মতো একজন ড্রামার। বিকল্প না থাকায় তার শরণাপন্ন হতেই হলো। এদিকে আমাদের সঙ্গ দেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না টিটুর, ব্ল্যাকও ছেড়েছিল সে একই কারণে। রেডিও স্বাধীনে কাজের সুত্রে বার্ট (বার্ট নন্দিত আরেং) আমাদের কাছের একজন হয়ে উঠেছিল। তাকে বলাতে সেও সানন্দে আমাদের জ্যামিংয়ে হাজির হতে শুরু করে। ব্যাস, এভাবে সর্বসাকুল্যে আমরা চারজনই।

গ্লিটজ: কোনো পুরনো ধারা নাকি নিরীক্ষা, নাকি একেবারেই নিজস্বতার পরিচয় দেবে ইনদালো?

জন: আমরা ব্যান্ড করছি, একদমই পরিকল্পনাহীন। এখানে কোনো ধরনের চিন্তাই নেই, নিরীক্ষাধর্মী কাজ করবো বা অন্যকিছু করবো। আমাদের হাতে গিটার, বেইজ, ড্রামস আছে এবং সেগুলো আমরাই বাজাচ্ছি। যন্ত্রগুলোরও নিজস্ব শক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা আমাদের পরিচালিত করে। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। আমরা তখন শুধুই ভাসতে থাকি। একটা সময় তারা কোনো এক ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় আমাদের। ব্যাস, হয়ে যায় নতুন একটা গান।

গ্লিটজ: নিজেদের কোনও ছকে ফেলছেন না?

জন: নিজেদের যা পছন্দ সেসবই করবো, এমন পণ করে কখনও জ্যামিংয়ে বসি না আমরা। কোনো ধরনের ছকে বাঁধা বা আমরা এই ধরনের কাজটাই করবো এমন প্রতিজ্ঞা বা এটা করবো না - এই ধরনের কিছু নেই আমাদের ব্যাকরণে। বাজাচ্ছি আমাদের হৃদয় থেকে, যে ধরনের সুর আসার কথা ওই মুহূর্তে তাই আসছে এবং সেটাই রেকর্ড করার চেষ্টা করছি।

গ্লিটজ: ব্যান্ডের একটি গান প্রকাশিত হয়েছে, ‘আই.এস.ডি.’, যেটা নিরীক্ষাধর্মী, অনেকটা জ্যাজ প্রভাবিত বলে মনে হয়। আপনাদের ভাষায় কী ব্যাখ্যা পাবে গানটি?

জন: ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। একটি গান, যার নাম ‘আই.এস.ডি.’। আমরা অনেকগুলো গান বানিয়েছিলাম, তার মধ্যে এটি একটি গান। সুচিন্তিত সিদ্ধান্তেই এটি আগে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। যার পেছনে আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।

গ্লিটজ: ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম বের হবে, সেই অ্যালবামের অন্যান্য গানের সঙ্গে এর পার্থক্য বা সাদৃশ্য কতোটুকু থাকবে?

জন:
আমার মনে হয় কোনো সাদৃশ্যই আপনি খুঁজে পাবেন না এবং এইটাই হবে ইনদালোর মজা। সেই গানটি শুনে আমাদের প্রতি যে এক্সপেক্টেশন  তৈরি হবে আপনার, সেটা ভাঙ্গাই হবে ইনদালোর একটা ক্যারেক্টর। এসব আমরা প্ল্যান করে করছি বা জোর করে করছি তা না। এখানে আমরা নিজেরাই আনক্সেপেক্টেটেড! নিজেরা করছি, পরে নিজেরাই অবাক হচ্ছি— ‘এটা তো পুরাই অন্যরকম’। তাই ইনদালোর প্রতি এক্সপেক্টেশন তৈরি করাটা হবে বোকামি। এ ধারা ন্যাচরালি হবে না ইনদালোর দ্বারা। আমি বলবো, এভাবে চিন্তা না করে উন্মুক্ত চিন্তা করাই বেটার।

গ্লিটজ: কয়েকবার স্টেজে পারফর্ম করলেন, নতুন গানগুলো নিশ্চয় শুনিয়েছেন ভক্তদের। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন মনে হয়েছে?

জন: ইনদালোর ডিসটিঙ্কট ক্রাউড ছাড়াও নতুন ক্রাউড তৈরি হবে ব্যান্ডের সাউন্ডের কারণে। এখানে যারা এক্সপেক্ট করে ব্ল্যাকের মতো গান হবে বা জন ভাই আছে, তার মতো কিছু একটা হবে - তাদের থেকে আমি বরং চিন্তা করি একটা নতুন ক্রাউড, একদল নতুন শ্রোতা তৈরি হবে ইনদালোর এই অ্যালবাম থেকে। আমারও মনোযোগ সম্পূর্ণ সেদিকেই। কে কী ভাববে বা কে কী বলবে, সেটা আমি চিন্তাই করতে চাচ্ছি না।

গ্লিটজ: নতুন ক্রাউডের কাছে পৌঁছাবেন কী করে?

জন: আমি সবসময় বিশ্বাস করি, ভালো কাজ প্রচার না করলেও সঠিক মানুষের কাছে অবশ্যই পৌঁছাবে। আপনি একটা খারাপ কাজকে অনেক প্রমোট করতে পারেন, এটা হিটও হতে পারে। সেদিকে আমরা যেতে চাই না। আমরা কাজ করবো, যেখানে আমাদের শ্রোতা আছে বা যারা আমাকে পছন্দ করে এবং যারা আমাদের শুনবে, তাদের কাছে গিয়ে। তাদের মাধ্যমেই আমাদের নাম ছড়াবে। অর্গানিক ওয়েতে যেটা হয় আর কি। যেমন— আমি শিওর, এখন যদি টারান্টিনোর নতুন একটা সিনেমা বের হয়, দশ মিলিয়ন ডলার খরচ করে হলেও অনেকেই দেখতে যাবে। ভালো-খারাপ তাদের কাছে পরের বিষয়। অর্থহীন, আর্টসেল, ব্ল্যাকদের কেউ অ্যালবাম দিয়ে হিট কিংবা বড় ব্যান্ড হয়নি। তারা প্রচুর শো করেছে এবং সেখান থেকে নিজেদের সার্কেল গুছিয়েছে। এরপর তারা অ্যালবাম বের করেছে।

গ্লিটজ: ইনদালোর ফ্রন্টম্যান জন কবির, তার পরিচয় তুলে ধরতে গেলে ব্ল্যাক ব্যান্ডের অবদান আছে। বলা যায় ব্যান্ডটির মাধ্যমেই উপমহাদেশ জুড়ে এক ইউনিক ভোকালিস্ট জন কবিরকে পেয়েছি আমরা। ইনদালোর মাধ্যমে তার ভক্তদের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

জন: যে জনকে তারা চিনেছে, যে জনকে তারা এতদিন সাপোর্ট দিয়েছে, সেই জনের আরেকটা নতুন ভার্সন তারা পাবে। সেটা সম্পূর্ণই তার মিউজিক এবং অর্ন্তগত দিক থেকে। আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভালো, ইনদালো ব্যান্ডটা কখনও আমার একার ব্যান্ড না। কারণ ব্যান্ডটা আমি শুরু করিনি। এটা জাস্ট শুরু হয়ে গেছে। অন্যান্যদের মতো সলো ক্যারিয়ার গড়ে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই আমার। সো এটাকে যদি বলা হয়, আমার নতুন ব্যান্ড। এটা একটা খুবই ভুল টার্ম ব্যবহার করা হবে। ইনদালো হলো একটা নতুন ব্যান্ড যেখানে আমি আছি।

গ্লিটজ: যদি বলি আপনাকে ঘিরেই তারা…

জন: পুরোপুরি ভুল বলা হবে, কারণ, যদি ইনদালো থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে ইনদালো উইল বি ইনদালো। ব্ল্যাকে থাকাকালীন মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রায় ৮৫% ক্ষেত্রেই আমার ইনিশিয়াল হতো। ইমন ভাইয়ের সঙ্গে বসে গানগুলোর টিউন এবং কর্ড বের করে পরে সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করতাম আমি। এরপর তারা নিজেদের ইনপুট দিতো। কিন্তু ইনদালোর সবকটা গান তৈরি হচ্ছে জ্যামিং প্যাডে। কেউ একা গান বানিয়ে সবাইকে ডাকে না। সেই জন্যই আপনি যেটা বললেন, আমাকে ঘিরেই তারা— এটা একদমই ভুল বলা হবে। ইনদালো হচ্ছে চার জন মানুষের ইকুয়াল এফোর্ট।

গ্লিটজ: ‘পেশাগতভাবে’ জন কবির একজন রেডিও প্রডিউসার, বেশ কিছুদিন ধরে টিভি প্রোডাকশনেও দেখা যাচ্ছে তাকে। সবকিছু মেইনটেন করতে গিয়ে মিউজিশিয়ান পরিচয়টা আড়ালে চলে যাবে নাতো?

জন: আশঙ্কা করা খুব স্বাভাবিক। এর ভুল প্রমাণে বলতে পারি, আমার কাজের সংখ্যা খুবই কম। ভ্যালেন্টাইন ডে এবং দুই ঈদ মিলিয়ে টিভি পর্দায় বছরে সর্বোচ্চ তিনবারের বেশি দেখবেন না আমাকে। কারণ, মিউজিক নিয়ে প্রচণ্ড ব্যাস্ত আমি, অন্যদিকে সময় দেওয়ার মতো অবসর বের করা খুবই কঠিন। আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমাকে একটা অ্যাডে দেখা যাচ্ছে যেখানে আমি সেই মিউজিশিয়ান জন হিসেবেই ছিলাম, মডেল হিসেবে না। আমি পেশাদার মডেল নই, সেটা হলে তখনই আরও অনেক কিছু করতে পারতাম। তাই বিষয়টা সেখানেই শেষ। সত্যি করে বলতেই হয়, অভিনয় আমাকে দিয়ে হয় না। অভিনয় আমার অর্ন্তগত কোনো কিছু না। তারপরও কেন যেন সবাই মনে করে আমি ভালো অভিনয় করি! এটা আমার কাছে একটা ধাঁধার মতো লাগে।

গ্লিটজ: আই.এস.ডি.-এর মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা আপনি, নতুন অ্যালবামের গানের নির্দেশনা কার?

জন: আমরা আপাতত একটা মিউজিক ভিডিও করছি, গানটির নাম ‘আন্তঃনগর’। এর দায়িত্ব দিয়েছি রবিউল আলম রবিকে। সে একজন ফিকশন ডিরেক্টর। আমরা মনে করছি, সে খুবই উপযুক্ত একজন। প্রথমদিনের শুটিং হয়েছে কয়েকদিন আগে। এখন দেখা যাক কী হয়! নিজের কথা বলতে গেলে, হয়ত আমিও নির্মাণ করবো ভবিষ্যতে। মিউজিক ভিডিও হোক বা প্রামাণ্যচিত্র হোক কিছু না কিছু করবো। এই জিনিসটা খুব মজা লাগে। আমি এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি।

গ্লিটজ: ব্ল্যাক ছাড়লেন কেন?

জন: আমি সবসময় নতুন কিছু করতে চাই। মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বলা যায় যেটাকে। নতুন কিছু হলেই তার প্রতি আকৃষ্ট হই আমরা। আমার বিশ্বাস, একটা সংস্থা, সংগঠন বা একটা ব্যান্ড দীর্ঘদিন একই কাজ করে যেতে পারে না। আমরা যারা ব্ল্যাক করতাম, মনিটারিলি এটা খুবই ভায়াবল একটা কোম্পানি হতো। এর কারণ, সবাই তখন তুঙ্গে ছিলাম। আর নাম, ব্র্যান্ড বিশাল একটা ব্যাপার। কিন্তু প্রথমত আমি মানুষ। আমার নিজেকে শান্তি দিতে হবে আগে। আমি যদি শান্তি না পাই; আমি যাই করি না কেন তাতে শুধু হতাশাই বাড়বে। তাই নতুন কিছু করা উচিত বলে মনে হচ্ছিল আমার। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র কিছু দ্বিধা-দ্বন্দও তৈরি হয়েছিল। আমিই প্রস্তাব দেই, ঠিক আছে আমরা তাহলে একটা ব্রেক নিই। এতেও আপত্তি ছিল। চোখের সামনে থেকে আড়াল হলেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, বিশ্বাস করি না আমি। তাই ব্ল্যাক ছেড়ে দেওয়াটা একটা সময়ের চাহিদা বলা যায়।

গ্লিটজ: পুরনো ব্যান্ড সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কী?

জন: দেখুন, আমাদের বয়স বেড়ে এখন ৩৫-এর কাছাকাছি। টিনএইজ তো দূরের কথা, আমাদের মধ্যে সেই নিওইয়ুথ জিনিসটাও আর অবশিষ্ট নেই। এখন সবাই ম্যাচিউর। এটা চরম একটা ভুল ধারণা হবে, যদি কেউ মনে করে ব্ল্যাকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আগের মতো নেই। জাহানের সঙ্গে চা খাওয়া, আড্ডা দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলেও সপ্তাহে অন্তত দুদিন তার অফিসে যাওয়া হয় আমার। সেখানে আরও অনেকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতও হয়। আমাদের একটা কিছুতে মিল না হওয়ায় আমরা ব্যান্ডে নেই। তার ফলে আমাদের আগের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি! আগে নিয়মিত দেখা হতো, সেটাই শুধু হয় না এখন।

গ্লিটজ: নতুন অ্যালবাম ‘কখন-কীভাবে-এখানে-কে-জানে’ জুলাই মাসে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন। গত বছরের অগাস্টেই এই অ্যালবামের ঘোষণা আসে, এরপর এতটা সময় লাগছে কেন?

জন: আমরা অ্যালবাম রের্কডিং শুরু করেছি আড়াই বছর আগে। (হাসি)

গ্লিটজ: প্রকাশের জন্য কোন মাধ্যমের কথা ভাবছেন?

জন: এখন যেহেতু সবকিছুই ডিজিটাল মিডিয়া বেইজড বা ওরিয়েন্টেড, আমরাও সেদিকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। সেখানে সবকিছুই আপনার কন্ট্রোলে থাকছে। আপনি কী, সেটা পরিষ্কার করে বলতে পারেন সেখানে।

গ্লিটজ: কোনও হেজিটেশন নেই…

জন: কোনও হেজিটেশন নেই। আমরা সবকিছু নিজেরাই করবো। অর্থাৎ নিজেরাই সিডি বানাবো, নিজেরাই বিক্রি করবো। স্বাধীনভাবে কাজ করার যথেষ্ট স্বাধীনতা বলতে যেটা বোঝায়। আমার কথা হচ্ছে, আমাদের যা ইচ্ছা আমরা তাই করবো। সেজন্য ডিজিটাল মিডিয়া এখানে একটা বিশাল ব্যাপার। লেবেলকে অ্যালবাম দিলে তার কন্ট্রোল অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬০% চলে যায়। কারণ তখন অনেক কিছু সামনে চলে আসে। সেই ক্ষেত্র থেকে আমরা অনেক দূরে।