আকরাম খান পরিচালিত ‘ঘাসফুল’ চলচ্চিত্রে মাধ্যমে চিত্রনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে আসিফের। এই সিনেমাতে তিনি তৌকির চরিত্রে অভিনয় করছেন।
আসিফ বলছেন, “আমি নিজেকে একজন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নিজের নামের আগে মডেল তকমাটি আর লাগাতে চাই না। বরং আমি নিজেকে একজন অভিনেতা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সিনেমাতেই আমি থাকব।”
প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ এবং অ্যাকশন তারকা রুবেলের ভক্ত আসিফের মতে, “সালমান শাহ আর রুবেলের পর আমি আর কাউকে হিরো হিসেবে দেখতে পাইনি। সালমান শাহ এখনও আমাদের কাছে স্টাইল আইকন। আমি তার মতো ব্যতিক্রমী কিছু করতে চাই।”
চিত্রনায়ক হিসেবে অভিষেকের আগে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি আসিফকে। অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত অবস্থায় অভিনয় করেছিলেন ‘জয়’ নামের একটি ইংরেজি চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছিল।
দেশে ফিরে মডেলিংয়ে নিয়মিত হয়ে পড়া আসিফ, এক পর্যায়ে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম নাটক আরিফ খান পরিচালিত ‘মন উচাটন’। অভিনয় করেছেন হুমায়ূন আহমেদের ‘নিশিকাব্য’ এবং ‘মাঝেমধ্যে তবো দেখা পাই’ নাটকে। বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করতে গিয়ে ডাক আসে চলচ্চিত্রে।
অনন্য মামুন পরিচালিত ‘কাছে এসে ভালোবাসো’ সিনেমার মাধ্যমেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল আসিফের। এরপর নার্গিস আক্তারের ‘ছেলেটির নাম মেঘ, মেয়েটির নাম বৃষ্টি’ নামে আরও একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু সিনেমা দুটির কোনোটিই মুক্তি পায়নি।
এ প্রসঙ্গে আসিফ বললেন, “ওই দুটি সিনেমা নিয়ে আর কিছুই বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে পারি, সিনেমা দুটি হচ্ছে না আর।”
সিনেমায় নিজের চরিত্র সম্পর্কে গ্লিটজকে বলেন, “তৌকির খুবই সংবেদনশীল ও মেধাবী ছেলে। যিনি তার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। চরিত্রটি সত্যিই দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে আমার জন্য। চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। গল্পটি তোলা রইল রূপালী পর্দার জন্য।”
‘ঘাসফুল’ সিনেমাটি নিয়ে আসিফের প্রত্যাশা গগনচুম্বী। বলছেন, “সিনেমাটির গল্প ও গানগুলো অন্যান্য সিনেমা থেকে সম্পূর্ন আলাদা। তবে সিনেমার সাফল্যের ব্যাপারটি পুরোপুরি দর্শকের ওপর নির্ভর করছে।”
সহশিল্পী শায়লা সাবি প্রসঙ্গে বলেন “গত বছর এমন সময় কুষ্টিয়াতে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে আমরা শুটিং করছিলাম। সারা দিন শুটিং শেষে আমরা যখন বিশ্রাম নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম তখন সাবি সাইকেল চালিয়ে শুটিং লোকেশনে পাড়া থেকে পাড়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে। ও খুবই অস্থির প্রকৃতির মেয়ে। তবে কাজের ক্ষেত্রে সহশিল্পী হিসেবে শায়লা আমাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছে।”
আসিফের মতে, তরুণ নির্মাতাদের আরও বেশি সুযোগ করে দিলে বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে সিনেমা সংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্রে তরুণদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করছেন তিনি।