শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে তাদের আকদ সম্পন্ন হয়। এর আগে একটি রেস্তোরাঁয় হয় বিন্দুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।
বিন্দু গ্লিটজকে বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরেই ‘প্রথাগত উপায়ে’ পাত্র খোঁজা হচ্ছিল। পাত্রপক্ষের সঙ্গে পরিচয়টা খুব বেশি দিন হয়নি। এর মধ্যে আসিফের পরিবারের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার শাশুড়ি অল্পতেই আমাকে আপন করে নিয়েছেন।”
“আমাদের বিয়ে উপলক্ষে দেশ-ভ্রমণ করে গেলেন আসিফের বড় বোন।”
বিন্দু আরও জানান, পরিচয়ের অল্প দিনেইর মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই পরিবার। তাই বেশ তাড়াহুড়ো করেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হলো।
কুমিল্লা জেলার আওয়ামী লীগ নেতা সালাহউদ্দিন আহম্মেদের একমাত্র ছেলে আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক বাবার মতোই শিল্পপতি। ‘আসিফ অ্যাপারেলস’ নামে একটি সোয়েটার কারখানার মালিক তিনি।
স্বামী সম্পর্কে বিন্দু বললেন, “খুব অল্প দিনের জানাশোনায় আসিফকে ভালোই লেগেছে। বিশেষত আমার পরিবারে পছন্দ, আমারও পছন্দ। আমরা হ্যাপি।”
গত কয়েক বছরে টেলিভিশন নাটকের চেনা মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিন্দু। তবে ২০১৩ সাল থেকেই পর্দায় উপস্থিতি কমিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। এ বছর তার প্রচারিত নাটক ও টেলিফিল্মের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি।
ক্যারিয়ারের ইতি টানার কারণ হিসেবে বললেন, “আমি জানি ক্যারিয়ারের পিক টাইমে আমি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। সারা জীবন অভিনয় করবো, এমন ভেবে কাজ করিনি কখনো। এমনকি পয়সার জন্যও অভিনয় করিনি। অভিনয় করেছি ভালোবাসার জায়গা থেকে।”
এখন সংসার জীবনেই মনোনিবেশ করতে চান এই অভিনেত্রী, “আমি দুইটা কাজ একসঙ্গে করতে পারি না। তাই অভিনয়কে বিদায় বলতেই হবে। আর এটা আমার সর্ম্পূণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”
“আমি লাকি, খুব অল্প দিনেই আমার ক্যারিয়ার পিক করেছে। এর কারণ হতে পারে, এক পর্বের নাটকে আমি বেশি অভিনয় করেছি, তাই টেলিভিশনেও বারবার দেখা গেছে। তবু এত অল্প দিনে জনপ্রিয়তা পাওয়াটা আমার কাছে বিশেষ পাওয়া হয়েই থাকবে।”
লাক্স-চ্যালেন আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০০৬ সালে বিনোদন জগতে পা রাখেন বিন্দু। সেই সুবাদেই সুযোগ পান তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয়ের। পরবর্তীতে ‘জাগো’, ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’, ‘এই তো প্রেম’ সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে।