হলিউড রিপোর্টার বলছে, শেষ মুহূর্তে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও সরে যাওয়ার পর ব্র্যাডলি কুপার, ম্যাট ডেমন আর বেন অ্যাফ্লেকের নামও শোনা গিয়েছিল চরিত্রটির জন্য। এবার মার্কিন এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খবরটি ক্রিশ্চিয়ান বেলের কথা নিশ্চিত করলেন সরকিন নিজেই।
“সিনেমাটির জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার ভেতরে সবচেয়ে ভাল অভিনেতাকেই দরকার ছিল আমাদের। আর তিনি হলেন ক্রিশ্চিয়ান বেল। এর জন্য তাকে অডিশনও দিতে হয়নি।”
উল্লেখ্য, শুরুর দিকে এই চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল বেলেরই। তখন সিনেমাটি পরিচলনা করার কথা ছিল ডেভিড ফিঞ্চারের। ‘ফাইট ক্লাব’ খ্যাত এই নির্মাতার সঙ্গে প্রযোজন প্রতিষ্ঠান সনির বেশ কিছু ঝামেলার কারণে পরে সরে দাঁড়ান তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হন ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ খ্যাত ব্রিটিশ নির্মাতা ড্যানি বোয়েল। জবসের ভূমিকায় ড্যানির প্রথম পছন্দ লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও হওয়ায় ছিটকে যান বেলও।
ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরও শেষ মুহুর্তে অভিনয় থেকে বিরতি নেবার সিন্ধান্তের কারণে সরে দাঁড়ান তিনি। আর এরপর থেকেই সিনেমাটির মূল চরিত্রের জন্য অভিনেতা খোঁজা শুরু হয়ে যায় আবার গোড়া থেকেই।
ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের ২০১১ সালের বই ‘স্টিভ জবস’ অবলম্বনে চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন অ্যারন সরকিন। অস্কারজয়ী এই চিত্রনাট্যকার জানালেন, জবসের চিরপরিচিত কথা বলার ঢং-এই সাজানো হয়েছে সংলাপ। আর সেজন্য সুযোগ্য অভিনেতা বেলই।
“বেলকে এই সিনেমায় যত সংলাপ আওড়াতে হবে, অন্যদের হয়তো তিন-চারটা সিনেমাতেও তা করতে হয় না। সিনেমার এমন কোনো দৃশ্য নেই যেখানে বেল থাকবেন না, আর এজন্য তাকে অনেক বেশি কথা বলতে হবে। আর অবশ্যই তিনি এই কাজে সফল হবেন।”
সনির পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন স্কট রুডিন, গাইমন ক্যাসেডি এবং মার্ক গর্ডন।