১. অ্যায় মেরে জোহরা জাবিন
১৯৬৫ সালের তারকাবহুল ‘ওয়াক্ত’-এর জন্য এই একটি গানই গেয়েছিলেন মান্না দে। সাহির লুধিয়ানভির কথায় গানটিতে উঠে এসেছিল অনেকদিনের বিবাহিত জীবনের সুন্দর দাম্পত্য আর ভালবাসার গল্প। আর বলরাজ সাহানি, অচলা সাচদেভের অভিনয়ে সহজ কিন্তু দারুণ শ্রুতিমধুর এই গানটি পেয়েছিল অসম্ভব জনপ্রিয়তা।
২. তু পেয়ার কা সাগার হ্যায়
অমীয় চক্রবর্তীর ১৯৫৫ সালের সিনেমা ‘সীমা’ তৈরি হয়েছিল ভাগ্যবিড়ম্বিত এক অনাথ তরুণী গৌরি এবং অনাথ আশ্রমের ম্যানেজার অশোক সাহানির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে। মান্না দের গাওয়া এই গানটি প্রেম ও ভক্তির এক অনন্য সম্মিলন।
৩. লাগা চুনরি মে দাগ
সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল ধাঁচের এই গানটি মান্না দে গেয়েছিলেন ১৯৬৩ সালের সিনেমা ‘দিল হি তো হ্যায়’র জন্য। সাহির লুধিয়ানভির কথায় সুর দিয়েছিলেন রোশান। বৃদ্ধ এক সংগীতশিক্ষকের বেশে রাজ কাপুরের দারুণ অভিনয় গানটিতে যোগ করেছিল এক অনন্য মাত্রা।
৪. এক চাতুর নার কারকে শৃঙ্গার
ষাটের দশকের বিখ্যাত কমেডি ‘পাড়োসান’ মানেই - মান্না দে- কিশোর কুমারের সেই ঐতিহাসিক যুগলবন্দী। সিনেমায় দক্ষিণ ভারতীয় সংগীত গুরু মেহমুদের কণ্ঠ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মান্না দেকে। রাহুল দেব বর্মণের শুরে অসাধারণ এই গানটি আজও শ্রোতাদের মনে গেঁথে আছে।
৫. চাড় গায়া পাপি বিছুয়া
বিমল রায়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মধুমতি’ নানা দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সলিল চৌধুরী। তার সুরে লতা মুঙ্গেশকর এবং মান্না দের গাওয়া এই গানটিকে ধরা হয় সলিল চৌধুরীর সেরা কাজগুলোর একটি হিসেবে।
৬. তু ছুপি হ্যায় কাহা
মান্না দের গাওয়া বিরহের গানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ১৯৫৯ সালের সিনেমা ‘নাভরাং’-এর এই গান দর্শক মনে রেখেছে অভিনেত্রী সন্ধ্যার অসাধারণ নাচ আর দারুণ দৃশ্যায়ণের জন্য। গানটিতে মান্না দের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সি রামচান্দ্রা।
৭. ইয়ে রাত ভিগি ভিগি
লতা মুঙ্গেশকারের সঙ্গে মান্না দের সফল রোমান্টিক গানের সংখ্যা কম নয়। তার মধ্যে ‘চোরি চোরি’ সিনেমার এই গানটিকে উপরের দিকেই রাখতে হবে । রাজ কাপুর আর নার্গিসের অভিনয়ে গানটি চিরসবুজ প্রেমের গান হিসেবে হিন্দি গানপ্রেমীদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে।
৮. দিল কা হাল সুনে দিলওয়ালা
রাজ কাপুর পরিচালিত, প্রযোজিত এবং অভিনীত সিনেমা ‘শ্রী ৪২০’ -এর গান এটি। সিনেমার গল্প আবর্তীত হয়েছে রাজ নামের এক অনাথ ভবঘুরেকে নিয়ে, ভাগ্যের অন্বেষণে যে আসে বোম্বে শহরে। শহরে এসেই তার বন্ধু হয়ে যায় রাস্তার মানুষেরা আর তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই রাজ গেয়ে ওঠে এই খুশির গানটি। শৈলেন্দ্রর কথায় গানটিতে সুর দেন শঙ্কর-জয়কিষাণ।
৯. জিন্দেগি ক্যায়সি হ্যায় পাহেলি
হৃষিকেশ মুখার্জির ক্ল্যাসিক সিনেমাগুলির মধ্যে একটি ১৯৭১ সালের ‘আনন্দ’। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্যান্সারাক্রান্ত যুবক আনন্দ যে দুঃখকে গ্যাসভরা বেলুনের মতোই উড়িয়ে দে। রাজেশ খান্না অভিনীত চরিত্রটির কণ্ঠে সলিল চৌধুরীর সংগীত পরিচালনায় এই গানটি গেয়েছিলেন মান্না দে। সমুদ্রসৈকতে বেলুন ওড়াতে ওড়াতে জীবনের মানে খুঁজতে থাকা রাজেশ খান্না যখন গানটি গেয়ে ওঠেন তখন শ্রোতাও তার সুরে হারিয়ে যায়।
১০. ইয়ে দোস্তি
‘শোলে’ সিনেমার এই গানটির কথা না বললে আসলে মান্না দের হিন্দি গানের তালিকা অসম্পূর্ণই থেকে যায়। রমেশ সিপ্পির কিংবদন্তী এই সিনেমায় দুই বন্ধু জয়-ভিরুর (অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র) সম্পর্কে তুলে ধরা এই গানটি আজ বন্ধুত্বের সমার্থকই হয়ে গেছে। রাহুল দেব বর্মণের সুরে গানটিতে মান্না দের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কিশোর কুমার।