‘বাবার মতো হতে চাই না’

পিতার পথ ধরে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখার উদাহারণ নতুন নয়। নায়ক রাজ্জাকের ছেলে বাপ্পারাজ, পরিচালক কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ, আরেক নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে দেবাশীষ বিশ্বাস - সকলেই সিনেমাকে পেয়েছেন উত্তরাধিকারসূত্রে। সিনেমায় দীর্ঘদিন কাজ করার পরও এরা কেউই বাবার পরিচয়কে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তাদের কাতারেই এবার যোগ দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ ওরফে ইউল রাইয়ান।

তানজিল আহমেদ জনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2014, 06:15 AM
Updated : 29 August 2014, 07:15 AM

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘অদৃশ্য শত্রু’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন ইউল।  জোর গলায় বললেন, কোনোভাবেই তিনি বাবার অনুকরণ করেন না। এমনকি বাবার অভিনয়ের ধাঁচও তার অভিনয়ে কোনো ছায়া মেলেনি। 

গ্লিটজের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ইউল বলেন, “আমি চাই কাজের ক্ষেত্রে আমার নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি হোক।  আমি কখনও চাই না বাবার মতো হতে। আমি স্বনামেই পরিচিত হতে চাই।”

ইউল জানালেন, অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা তার কোনোকালেই ছিল না। ‘অদৃশ্য শত্রু’-তে অভিনয়ের ব্যাপারটি হুট করে হয়ে গেছে। 

“সিনেমাতে নায়কের চরিত্রে যে ছেলেটা অভিনয় করছিলো, তাকে নিয়ে অর্ধেক শুটিং শেষ হওয়ার পর বুঝতে পারলাম ওকে নিয়ে অযথাই চেষ্টা করছি। পরে ইউনিটের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিনেমাতে আমিই নায়ক হিসেবে থাকছি। তবে লগ্নি করা টাকাটা তুলে আনার বিষয়ও মাথায় কাজ করেছিল।”

পরিচালক হিসেবে বাণিজ্যিক ধারার সিনেমা নির্মাণই ইউলের লক্ষ্য। নবীন এই পরিচালক মনে করেন, বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নতির জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। সব শ্রেণী পেশার মানুষের উপযোগী করেই সিনেমা বানানো উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।  আর সে লক্ষ্যে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানালেন। 

‘অদৃশ্য শত্রু’ মুক্তির পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি নায়ক হিসেবেও থাকছেন তিনি। 

ইউল ছাত্রাবস্থায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। ২০০৬ সালে ‘পিক টু পকেট’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রচারিত হওয়ার পরে পরিচালক হওয়ার নেশায় পেয়ে বসে তাকে। পরে বাবার সঙ্গে ‘রিটার্ন টিকেট’ সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এছাড়াও সোহেল রানার ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, চাচা রুবেলের ‘অন্ধকারের চিতা’ সিনেমাতে তিনি সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।