সম্প্রতি ভারতের এক ইংরেজি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রিতির আইনজীবী হিতেশ জেইন জানান, আইনের যে ধারা অনুযায়ী এই মামলা করা হয়েছে, সেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট শাস্তি।
এদিকে প্রিতিকে স্বশরীরে অভিযোগ রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যম জি মিডিয়া ব্যুরো বলছে, প্রিতির আইনজীবীকে একটি লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মেরিন ড্রাইভ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নতুন করে অভিযোগ রেকর্ড করে আসতে হবে প্রিতিকে।
৩০ মে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেরে স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর খেলার সময় গ্যালারিতে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাবেক প্রেমিক যুগল এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের দুই মালিক।
এরপর ১২ জুন নেসের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ করেন প্রিতি, যা এখন অস্বীকার করছেন তার আইনজীবী।
ঝগড়ার নেপথ্য কারণ:
জি মিডিয়া ব্যুরো বলছে, ইতোমধ্যেই সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে পৌঁছেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে ঝগড়ার মূল অংশটি ধারণ করা সম্ভব হয়নি। প্রিতির অভিযোগ অনুযায়ী, যেখানে তার সঙ্গে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো ক্যামেরা ছিল না।
তবে সম্প্রতি গ্যালারির একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে জি নিউজ। যেখানে দেখা যায় নেস এবং প্রিতির ঝগড়ার শুরুটা।
ফুটেজ এবং কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য অনুযায়ী সেদিন গ্যালারিতে বসার জায়গা না পেয়ে প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন নেসের মা মৌরিন ওয়াদিয়া। আর সেখানেই বাধে বিপত্তি।
জি নিউজ বলছে, নিয়ম অনুসারে গ্যালারিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন বরাদ্দ থাকে ক্রিকেট দলগুলোর মালিকদের জন্য। সেদিন সবগুলো সিট দখল করে খেলা দেখছিলেন প্রিতি এবং তার বন্ধুরা। যার ফলে প্রায় ২০ মিনিট জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নেসের মাকে।
পরে খবর পেয়ে আসেন নেস আর প্রিতির সঙ্গে শুরু হয় তার বাকবিতণ্ডা।