‘গাড়িওয়ালা’ হলে চালাতে চাই: শিশির

সেন্সরে ছাড় পেয়েছে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘গাড়িওয়ালা’।এবার কেবল মুক্তির অপেক্ষা।

চিন্তামন তুষারচিন্তামন তুষারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2014, 08:55 AM
Updated : 20 May 2014, 08:55 AM

কিন্তু গ্নিটজের সঙ্গে আলাপে বেরিয়ে এল, নির্মাতা আশরাফ শিশির যা চাইছেন তা নাও ঘটতে পারে।  

“সাধারণত সরকারি অনুদানের সিনেমাগুলো হলের দর্শক দেখতে পায় না। এগুলো জীবনঘনিষ্ঠ কাহিনি বা অন্যান্য সিরিয়াস বিষয় নিয়ে নির্মিত হয়, যে কারণে হল মালিকরা সিনেমা নিতে চায় না।” বললেন শিশির।

প্রযোজক সমিতির কাছে সিনেমাটি হলে প্রদর্শনের আবেদন করবেন তরুণ এই নির্মাতা। তবে হলে দেখানোর অনুমতি না পেলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতেও দেরি করবেন না শিশির।

২০১২-১৩ সালে ঘোষিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয় ‘গাড়িওয়ালা’। ৪০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জুন মাসে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেন তিনি। আগস্ট মাসে প্রদর্শিত হয় সিনেমাটি।

পরবর্তীতে ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেন তিনি এবং সরকারের কাছ থেকে অনুমতিও পান। পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে বর্তমানে এর দৈর্ঘ্য ১২৫ মিনিট।

গ্রামের দুই সহোদর শিশুকাল থেকে দারিদ্রের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে কীভাবে ‘গাড়িওয়ালা’ হয় তারই কাহিনি 'গাড়িওয়ালা'।

দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মারুফ ও কাব্য। অন্য শিশুশিল্পীরা হলেন অর্ণব, স্বপ্ন, কিন্নর ও ঋদ্ধ। এছাড়াও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও রোকেয়া প্রাচী। 

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রাফায়েত নেওয়াজ এবং সম্পাদনা করেছেন সাব্বির মাহমুদ। এটি মিডিয়া এইড বাংলাদেশ প্রযোজিত ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) - র কারিগরি সহায়তায় নির্মিত হয়েছে।

আশরাফ শিশির পেশায় চারুকলার শিক্ষক। তবে তিনি বাংলাদেশে ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছেন শুরু থেকেই। ‘অর্ধেক প্রেমের গল্প’ নামে আরও একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ 'গাড়িওয়ালা'র আগে শুরু করলেও এখন বন্ধ রয়েছে।

ডিজিটাল ফিল্ম নির্মাণের শুরুতে ফেইসবুকের মাধ্যমে ‘আমরা একটি সিনেমা বানাব’ নামে আরও একটি সিনেমা নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি। সম্পূর্ণ সাদাকালো এই সিনেমাটির কাজও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি।