নায়করাজ রাজ্জাক আর আমাদের মাঝে নেই। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই অভিনেতা টানা চার যুগেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত থেকে আপন কর্মে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। মন জয় করেছেন কোটি প্রাণের। অভিনয় করেছেন তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। সুদর্শন ও সু-অভিনেতা রাজ্জাক জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করে পেয়েছেন নায়করাজ উপাধি।
বার্ধক্যজনিত কারণে বারবার অভিনয় থেকে দূরে সরেও ফিরে এসেছিলেন এই অভিনয় অন্তঃপ্রাণ। বাংলা চলচ্চিত্রের দুর্দিনে বারবার সোচ্চার হয়েছেন অনিয়মের বিরুদ্ধে। নতুন প্রজন্মকেও টেনে নিয়েছেন বুকে। তবু তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তার অবদানকে খাটো করে দেখা হয়েছে। সর্বশেষ পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকনও তাকে নিয়ে কটূক্তি করে জড়িয়েছিলেন বিতর্কে।
নায়করাজকে নিয়ে এমনই সমালোচনার জবাবে কিংবদন্তি এই চরিত্রকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। নায়করাজের মৃত্যুদিনে ২০১৫ সালে লেখা কবিতাটি পুনরায় প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রকাশের পরপরই কবিতাটি ভাইরাল হয়েছে ফেইসবুকে।
এ প্রসঙ্গে প্রিন্স মাহমুদ গ্লিটজকে বলেন, “আমার তখন পাঁচ কি ছয় বছর বয়স। হলে গিয়ে আমার জীবনের প্রথম ছবি নায়করাজের ‘আলোর মিছিল’। আমার মনে আছে, সিনেমায় যখন দেখাচ্ছিলো-নায়করাজ প্লেন থেকে নামলেন তখন পুরো হলভর্তি মানুষ হৈ হৈ করে চিৎকার করে উঠলো। আমি তো ভয়েই কেঁদে দিয়েছিলাম। এই ছিলেন রাজ্জাক। সুতরাং তার কাজই তার অবদানের স্মারক। নতুন প্রজন্মের ক’জন রাজ্জাককে জানেন? তাকে যে আসনে রাখা উচিত ছিলো তা আমরা রাখিনি, তাকে নিয়ে যেভাবে আলোচনা করা উচিত তা আমরা তা করিনি।”
প্রিন্স মাহমুদের কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে নায়করাজের অভিনয় জীবনের নানা অনুষঙ্গ।