সঙ্গীত জীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত বন্যা এই পদকটিকে যে অন্যভাবে দেখছেন, তা জানান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াতেই।
“একজন শিল্পীর জন্য যে কোনো ধরনের পুরস্কার অনেক বড় প্রাপ্তির। তবে আজকের এই প্রাপ্তিটা আমার জন্য বিশেষ মর্যাদার। কারণ, যার নামে এই পুরস্কার ছোটবেলা থেকে তার (ফিরোজা বেগম) আমি গুণমুগ্ধ শ্রোতা ছিলাম।”
“শিল্পীর সার্থকতা তার সংযমে এবং সরলতায়। ফিরোজা বেগমের সেই সরলতার মধ্যে ছিল আর্টের নান্দিকতা। তিনি প্রতিটা গানের চরিত্র বুঝতেন। এজন্য তার সময়ের অন্য পাঁচজন থেকে আলাদা হয়ে তিনি ফিরোজা বেগম হতে পেরেছিলেন।”
নজরুল ইসলামের সুর আর বাণী কণ্ঠে ধরে সাত দশক ভক্তহৃদয়ে রাজত্ব করে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন শিল্পী ফিরোজা বেগম।
ফিরোজা বেগমের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্যার গলায় পদক পরিয়ে দেন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তার হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে থাকা বন্যা বলেন, “এই পুরস্কারে সম্মানিত বোধ করছি।”
অনুষ্ঠানে পদক নেওয়ার পর দর্শকদের অনুরোধে গানও গেয়ে শোনাতে হয় পুরস্কাজয়ী এই রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পীকে।
বন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, জুরি বোর্ড, ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্য এবং ফিরোজা বেগমের পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ফিরোজা বেগমের ছেলে শাফিন আহমেদও ছিলেন, যিনি বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীত জগতে জনপ্রিয় মুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ও সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন (ভারপ্রাপ্ত) টুম্পা সমদ্দার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান।