তবে তারকাখ্যাতি আগলে রাখার জন্য নয়, আমির-রিনা’র গোপন দাম্পত্যের বিষয়টি ছিল নেহাতই পারিবারিক। মুসলমান আমির খান-এর প্রেমে হিন্দু মেয়ে রিনা তখন পড়েছিলেন, যখন তার বয়স সবেমাত্র ১৮, আর আমিরের ২০। এক বছর পর ১৯৮৬ সালে তারা গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, কারণ এই বিয়ে পরিবারের কেউই মেনে নিবে না। রেজিস্ট্রি করে করা ওই বিয়ের পর একসঙ্গেও থাকতেন না রিনা-আমির, থাকতেন যে যার বাড়িতেই।
আমির যখন তার ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’-এর অভিনয়ে ব্যস্ত, তখনও রিনা’র বিবাহিত স্বামীই ছিলেন তিনি। এমনকী, ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ গানটিতে আমির-এর মঞ্চের সামনে যে অল্পবয়সী মেয়েগুলি ছিল, তারমধ্যে ছিলেন স্বয়ং রিনাও।
পরবর্তীতে রিনা’র সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে হাসতে হাসতে আমির বলেছিলেন, “আমার সঙ্গে রিনা’র দেখা হয়, যখন আমার ২০ আর রিনার ১৮ বছর বয়স। বলতে পারেন আমরা বেড়েই উঠেছি একসঙ্গে।”
বেশ কিছুদিন পর আমির যখন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান, তখন রিনা’র বড়বোনের চাপে পরিবারকে সবকিছু খুলে বলতে বাধ্য হন তারা। তারপর থেকে একসঙ্গে বাস করতেন তারা, সংসারে আসে আইরা আর জুনায়েদ নামের দুই সন্তানও।
প্রেমের শুরুটা মিষ্টি হলেও রিনা-আমিরের সম্পর্ক শেষ হয় তিক্ততায়। নব্বইয়ের শেষে আমির খান-এর সঙ্গে জড়াচ্ছিল পূজা ভাট, মমতা কুলকার্নিদের মত তারকাদের নাম। ২০০০-এর শুরুতে তিনি প্রণয়ে জড়ান ব্রিটিশ সাংবাকি জেসিকা হাইন্স-এর সঙ্গেও। জেসিকা’র ঘরে আমিরের একটি ছেলেও আছে বলে শোনা যায়। সবকিছু মিলিয়েই রিনা সিদ্ধান্ত নেন সম্পর্কের ইতি ঘটানোর। ২০০২-এ অনেকটা চুপিসারেই বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা।
আমির-এর জীবনে অবশ্য এর পরেও এসেছে প্রেম। তরুণ সহকারী পরিচালক কিরণ রাওয়ের সঙ্গে তিনি প্রেম শুরু করেন ‘লগান’-এর দিনগুলি থেকে। ওইসময় মানসিকভাবে দারুণ বিপর্যস্ত আমিরকে শক্তি যুগয়েছেন কিরণ। তারই ফলশ্রুতিতে দেড় বছর এক ছাদের নিচে থাকার পর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তারা।
দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও গোপনীয়তা না করলেও ক্যামেরার ফ্ল্যাশ থেকে বাঁচতেই নিভৃতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমির-কিরণ। এখন তাদের রয়েছে আজাদ নামের এক ফুটফুটে সন্তানও।