ষাটের দশকে স্কুলপড়ুয়া মিনা পালের বাংলা চলচ্চিত্রের ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশ, উত্তাল একাত্তরে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে ভারতের বড় বড় শহরে জনমত সংগঠন, সেলুলয়েডের বাইরে রাজনীতি জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি দুই মলাটে বেঁধে কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী প্রথমবারের মতো এলেন লেখক পরিচয় নিয়ে।
কেমন লাগছে নতুন এই পরিচয়ে সবার সামনে আসতে পেরে?
গ্লিটজকে বললেন কবরী, “আসলে বইমেলায় তো আমি আগেও এসেছি, বই প্রকাশের মোড়ক উন্মোচন করেছি। আজ নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য এসেছি, এত ভয় লাগছিলো। কিন্তু মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা দেখে মনে হল আমি এই মানুষদেরই একজন।”
‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কবরী। আজ আত্মজীবনী’র মাধ্যমে লেখক কবরী যখন পাঠকের সামনে এলেন, কতটা মিল এই দুই অনুভূতির?
কবরী বললেন, “কোনো মিল নেই, তখন আমি একেবারেই আনকোরা একজন ছিলাম। আজ আমি পূর্ণতা অনুভব করছি। সেসময় ছিলো পাওয়া না পাওয়ার একটা শঙ্কা, প্রতিযোগিতার পৃথিবী, পারবো নাকি পারবো না তার দোলাচল।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বইয়ে আমি লিখেছি, জীবন হচ্ছে একটি চলচ্চিত্র। জীবন কিন্তু স্থিরচিত্র নয়। এ জীবন-চলচ্চিত্রে আমি কতটুকু পারবো সে শঙ্কা ছিলো ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে। আজ আমি সে শঙ্কা উতরে গেছি। আমি টিকে গেছি। এই হচ্ছে আমার আনন্দ।”
এক পাঠক স্মৃতিটুকু থাক এগিয়ে দিয়ে বললেন “অটোগ্রাফটা রাজ্জাককে দিন।”
অমনি হেসে গড়িয়ে পড়লেন রঙিনপর্দার নায়ক রাজ রাজ্জাকের অমর সঙ্গী কবরী।
কবরীর ‘স্মৃতিটুকু থাক’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড- বিপিএল। অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি অংশের ৬৫-৬৬ নম্বরে বিপিএলের স্টলে পাওয়া যাবে এটি।