স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রের গল্পে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগারো বছর বয়সের তাসমিনা প্রতিবেশী এবং সহপাঠিদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যেখানে পনের বছর বয়স হবার আগেই বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় সেখানে তাসমিনা আরও অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ সমাজে যেখানে ‘বড়’ মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার। তাসমিনা যখন তারচেয়ে বেশি বয়সের পুরুষ প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেয়, তখন দর্শকদের অভিনন্দন বা প্রশংসা জোটে ঠিকই কিন্তু পুরস্কারের নগদ অর্থ কিংবা দামী পুরস্কারগুলো নিয়ে যান ঘোড়ার মালিক। তাই তার ইচ্ছা, টাকা জোগাড় করে একটা বড় ঘোড়া কিনেই সে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এমনি ঘটনার মাধ্যমে এগিয়ে গেছে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রের কাহিনি।
অন্যদিকে প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’ ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। যেগুলো হচ্ছে ওমেনস ইন্টারন্যাশনাল এন্টারটেইনমেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র, ৫১তম প্রিজনেস ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেন্স ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন ফেস্টিভ্যাল থিম পুরস্কার এবং জেন্ডার ইক্যুইটি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন।