৬ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা দশদিন শুটিং শেষে নওগাঁর সাপাহার গ্রাম থেকে ফিরলেন জয়া। নির্মাতা মাহমুদ দিদার জানালেন, আপাতত কিছুদিন ছুটি।
চরিত্র থেকে চরিত্রে ভ্রমণে জয়া যেন সর্বজয়া হয়ে উঠছেন। ‘ডুবসাঁতার’-এর সেই মধ্যবিত্ত তরুণীকে যে কালক্রমে ‘রাজকাহিনি’র দুর্ধর্ষ নারী চরিত্রেও এমন সাবলিল মানিয়ে যাবে কে জানতো?
এবার তেমনই চমকে দেওয়ার মতো নতুন রূপ নিয়ে হাজির হলেন জয়া। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বিউটি সার্কাস’-এ জয়াকে যেন নির্মাতা মাহমুদ দিদার আরও একটি কাঙ্খিতরূপই উপহার দিলেন।
নির্মাণ শুরুর আগে, সার্কাসের তাঁবু যখন ফেলা হচ্ছিলো, তখনই নির্মাতা গ্লিটজকে জানিয়েছিলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সার্কাসকে তিনি দেখাতে যাচ্ছেন তার নিজস্ব ফ্যান্টাসির মিশেলে। জয়ার রূপে যেন তাই ধরা দিলো। ময়ূরের রঙিন পালকের হ্যাট, মাথায়, ঘাড়ে বসে থাকা পোষা পায়রা নিয়ে ঝলমলে পোষাকের জাদুবাস্তবতা ধরা দিল জয়ার বেশভূষায়। জয়াও তাই শতভাগ ঢেলে দিলেন।
এবার বিউটি প্রসঙ্গ, নির্মাতা বললেন, “বিউটি হিসেবে জয়া আহসানকে আমি যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম তিনি তা হয়ে উঠতে পেরেছেন। এ জন্যই আমি আসলে ছবি শুরুর আগে থেকেই জয়া আহসানকে নিয়ে বাজি ধরেছি। কারণ আমার যে বিশ্বাসের জায়গা, ইমাজিনেশনের জায়গা - ওটা উনাকে ঘিরেই ছিলো। তিনি ওটাকে ভালোভাবেই রিপ্রেজেন্ট করতে পেরেছেন। জয়া আহসান থেকে বেরিয়ে বিউটি হয়ে উঠেছেন! আশা করছি দর্শকও খুব ভালোভাবেই নেবে তাকে।”
সার্কাসকে কেন্দ্র করে এক নারীর টিকে থাকার গল্প ‘বিউটি সার্কাস’। সার্কাস পুড়িয়ে দেয়ার পরও গণমানুষের পক্ষ নিয়ে হুমকির মুখেও একজন নারীর আপন শক্তিতে টিকে থাকার গল্প ফুটে উঠবে চলচ্চিত্রটিতে। এখানে পুরুষের ভূমিকাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক- দু’ভাবেই উপস্থাপন করা হবে।