গ্লিটজ: অনিমেষ আইচের পরিচালনায় আপনার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘বরষা’য় অভিনয় করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা?
যখন জানলাম যে শীতের রাতে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতে হবে, তখন অ্যাক্টিং নিয়ে একটু দু:শ্চিন্তায় ছিলাম। কেননা এমনিতে অ্যাক্টিংয়ের চেয়ে এটা একটু কঠিন ছিলো। টেকনিক্যাল ব্যাপারটা যাতে অ্যাক্টিংয়ে প্রভাব না ফেলে সেটা নিয়ে ভাবতে হয়েছে। তিনরাত টানা বৃষ্টিতে ভিজে শুটিং করেছি। সবকিছুর পর চমৎকার অভিজ্ঞতা।
গ্লিটজ: আপনার চরিত্রটা কেমন ছিলো?
ভাবনা: সিনেমাটা ২২ মিনিটের একটা ভালোবাসার গল্পে। ক্যারেক্টারটা সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চাইনা। তবে বলবো চরিত্রটাতে একটু চমক আছে। প্রেমময়ী, রহস্যময়ী চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে।
ভাবনা: যেহেতু এটা অনিমেষ আইচের লেখা সেহেতু নাটকে তাহসান ভাই যে ধরণের ক্যারেক্টারে অভিনয় করেন এখানে সেইসব ক্যারেক্টার থেকে তাকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। অন্যরকম তাহসানের সঙ্গে অভিনয় করেছি। দুজনের কেমিস্ট্রিটা দারুন ছিলো।
গ্লিটজ: ভালোবাসা দিবসে রিলিজ পাচ্ছে ‘বরষা’?
ভাবনা: যতদূর জানি, এটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালগুলোতে পাঠানো হবে এটি। তারপর ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ইউটিউবে মুক্তি পাবে। একইমাসের শেষে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ও মুক্তির কথা রয়েছে।
গ্লিটজ: ‘বরষা’ আপনার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভয়ংকর সুন্দর’ এর প্রচারণায় কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন?
ভাবনা: দেখুন আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই। আমি অনেস্টলি নিজের কাজটা করতে চাই। বড় পর্দা ছোট পর্দা কিংবা স্টেজ যে কোন মাধ্যমেই হোক আমি আমার সেরাটা দিতে চাই। ফলে প্রচার নিয়ে আমি তেমন ভাবছি না। কাজটা কেমন লাগবে তা নিয়েই ভাবছি। প্রথমত আমার কলিগদের তারপর দর্শকদের কাছে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ কেমন লাগবে তা নিয়েই আমার ভাবনা। তবে ছবিটির প্রচারণায় শিগগিরই আমরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে যাবো বলে ভাবছি। সুস্থ উপায়ে যতটুকু প্রচারের চেষ্টা করা যায় তা করবো।
ভাবনা: ভয়ংকর সুন্দর যে ধরণের ছবি সেটার জন্য আমাদের দর্শক সেভাবে তৈরি নয়। আমাদের দর্শকদের রুচি বাণিজ্যিক ধারার মশালা নির্ভর ছবি। অমিতাভ রেজা ‘আয়নাবাজী’ চলচ্চিত্রটিও সম্পূর্ণ রিস্কের ওপর রিলিজ দিয়েছেন। ভয়ংকর সুন্দরও তেমন একটি ছবি। কিন্তু আমি আমার ক্যারেক্টারটা নিয়ে বলতে পারি, পুরো গল্পে একজন নারীকে বিভিন্ন ধাপের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। নারীপ্রধান গল্পের চলচ্চিত্র এটি।
গ্লিটজ: নারীপ্রধান চরিত্রগুলোর প্রতি আপনার বিশেষ প্রেম লক্ষনীয়...
ভাবনা: আমি নায়কপ্রধান গল্পে কাজ করতে চাই না। আমার বয়েসীদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি নারীপ্রধান চরিত্রের কাজগুলো করেছি। আমার অভিনীত রসলুনবাঈ, শালুকলতা ইত্যাদি নাটকগুলোর দিকে তাকালেই তা বোঝা যাবে। সবসময় অভিনয়মুখ্য চরিত্রগুলোর সাথেই আমার প্রেম।
ভাবনা: মিডিয়ায় যখন আমি নতুন কাজ করি, তখন আমাকে অনেকেই বলেছিলেন, লোকের তোমাকে চিনতে হবে। বিজ্ঞাপন করো, এই করো সেই করো। কিন্তু আমি পণ্যের মডেল হতে চাইনি। কখনো শাবান-তেল-শ্যাম্পুর মডেল হতে চাইনি। শুরু থেকেই স্ট্রাগলটা ছিলো, এখনও আছে। শিফন শাড়ি পরে লন্ডনে গিয়ে নাচতে চাই না। আমি ক্লাসিক্যাল ড্যান্সার, আমি আমার ড্যান্সটাই যথাযথভাবে করে যাবো। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও তাই। ভালো কাজ করেই তৃপ্তি পেতে চাই।