জোলি সোমবার এই আবেদন করেন বলে তার আইনজীবী রবার্ট অফার জানিয়েছেন।
“পরিবারের মঙ্গলের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি (জোলি) এ বিষয়ে কথা বলবেন না এবং চান না এই মুহূর্তে তাদের নিয়ে কথা হোক,” এক বিবৃতিতে বলেছেন রবার্ট।
হলিউডের এই তারকা জুটি ২০০৪ সাল থেকে একসঙ্গে থাকার পর বিয়ে করেন ২০১৪ সালের অগাস্টে। দুজনের নামের প্রথম অংশ মিলিয়ে ব্রাঞ্জেলিনা নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই জুটি।
তাদের ছয় সন্তানকে নিজের কাছে রাখার অনুমতি চেয়েছেন জোলি। স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ পরবর্তী সুবিধা চাচ্ছেন না তিনি। বিচ্ছেদের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর।
২০০৫ সালে অ্যাকশন কমেডি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ এ প্রথম রুপালি পর্দায় একসঙ্গে দেখা যায় ব্রাড পিট (৫২) ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে (৪১)। ২০১৫ সালে ‘বাই দ্য সি’তেও দুজন এক হয়েছিলেন। ভেঙে পড়তে থাকা একটি বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে এই নাটক লেখেন জোলি, এর পরিচালনায়ও ছিলেন তিনি।
তবে তা অস্বীকার করেন জোলি: “ব্রাড ও আমার মধ্যে কিছু বিষয় আছে। কিন্তু চরিত্রগুলো আমাদের সমস্যাগুলোর সামান্য কাছাকাছি থাকলেও আমরা ফিল্মটি করতে পারতাম না।
“স্পষ্ট করতে বলছি: অন্য যে কোনো দম্পতির মতো আমাদেরও মতভিন্নতা ও সমস্যা আছে। আমাদের এমন দিন গেছে যখন আমরা একে অন্যের থেকে সরে গেছি এবং দূরত্ব চেয়েছি, তবে এই মুভির সমস্যা আর আমাদের সমস্যা এক নয়।”
৪১ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রথম ঘর বাঁধেন অভিনেতা জনি লি মিলারের সঙ্গে; ১৯৯৬ সালে ‘হ্যাকারস’র সেটে দেখা হয়েছিল তাদের। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘পুশিং টিন’ এ অভিনয়ের সময় বিলি বব থর্নটনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে বিয়ে করেন।
জোলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সময় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিসটনের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে ছিলেন ৫২ বছর বয়সী ব্রাড পিট। প্রথম দিকে জোলির সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
পিট-জোলির সংসার ভাঙছে বলে খবর প্রকাশের পর ২০১০ সালে নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে আদালতে যান তারা। এরপর থেকেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছিল।
তারও চার বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন তারা, যার ইতি ঘটল দুই বছর বাদেই।