বেশ কিছুদিন ধরেই সাইবার হয়রানির শিকার নিজে হচ্ছেন সালমান খান। কয়েকদিন আগে ‘ভাইজান’-এর কিছু অন্ধভক্ত তার নাম দিয়ে খোলেন বেশ কয়েকটি ফেইক অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তারা ঢালাওভাবে বাজে মন্তব্য করা শুরু করেন সালমানের পর্দা-প্রতিদ্বন্দ্বি শাহরুখ খান, আমির খান ও অন্যান্য বলিউড তারকাদের নিয়ে।
ক’দিন আগে তো একজন আবার সালমানের ছবি ব্যবহার করে তার সিনেমার জন্য রীতিমত নায়িকা খোঁজা শুরু করে দিয়েছিলেন। এইসব কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে সালমান এর আগে একবার তাঁর টুইটার বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
আইএনএস কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সালমান বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন। তারা ভাবেন যে তারা যা লিখছেন বা বলছেন তা কেউ খুঁজে দেখবেনা।”
“ইন্টারনেটে মানুষ বাক স্বাধীনতার শতভাগ অপব্যবহার করে। বাক স্বাধীনতা মানেই আপনি যা ইচ্ছা তাই বলবেন, তা নয়। আপনার বলা কথার দায়িত্বও আপনাকেই নিতে হবে। এটা এমন নয় যে আপনি কারো পেছেনে গিয়ে তাঁর নামে কিছু বললেন এবং চিন্তা করলেন এইটা কেউ কখনও জানতে পারবেননা। ইন্টারনেটে এসে আপনি যা ইচ্ছা তা বলবেন, করবেন আবার আপনার কৃতকর্মের দায়িত্বও নেবেননা তা তো হয়না!” ইন্টারনেটে মানুষের বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার নিয়ে আইএনএস কে এভাবেই বললেন সালমান। তাছাড়াও এইসব কাজকে নোংরা এবং অনায্য বলেও মনে করেন তিনি।
ভার্চুয়াল জগতের প্রতিটা কোণা কোণা ধরে পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করেন ৫০ বছর বয়সী এই সুপারস্টার যিনি এখন বুঁদ হয়ে আছেন তাঁর সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘সুলতান’ এর অসাধারণ সাফল্যে। তিনি মনে করেন সব কিছু আবারো ঠিকঠাক হয়ে যাবে তবে তাঁর জন্য আগে ভার্চুয়াল ঘোমটায় ঢাকা দেয়ালের পেছনের এইসব মানুষকে বের করে আনতে হবে, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বিরুদ্ধে।
সালমান আরো বলেন, “সবই ঠিক হয়ে যাবে, শুধু এইরকম দুই চারটা ভার্চুয়াল অপরাধীকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দিলেই হয়। পরেরবার কেউ এই পথে আসার আগে দশবার চিন্তা করবে।”
স্বনামধন্য লেখক সেলিম খান পুত্রের বিশ্বাস ‘সাইবার সেল’ গুলো চাইলে খুব সহজেই ধরতে পারেন এইরকম অপরাধীদের।