সালমানের পাশে অ্যাশ!

এক সময়ের গভীর প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়েছিল গাঢ় তিক্ততায়। এরপর থেকে একে অপরের ছায়াও মাড়াননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং সালমান খান। একযুগেরও বেশি সময়ের নীরবতা এবার ভাঙলেন অ্যাশ, সালমানের বিপদে প্রথমবারের মতো তার পাশে এসে দাঁড়ালেন তিনি।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2016, 12:22 PM
Updated : 27 April 2016, 12:22 PM

২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রিও অলিম্পিকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান। এরপর থেকেই ভারতের ক্রীড়াজগতে শুরু হয়েছে এর সমালোচনা। অনেকেরই প্রশ্ন, ভারতে প্রখ্যাত সব ক্রীড়াব্যাক্তিত্বরা থাকতে সালমানকে কেনো শুভেচ্ছাদূত করা হল?

সমালোচকদের দল ভারী হলেও সমর্থন খুব মানুষেরই পেয়েছেন সালমান। ডিএনএ সাময়িকী বলছে, ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গুটিকয়েক সমর্থকের সেই তালিকায় জুড়েছে সালমানের এককালের সাবেক ঐশ্বরিয়ার নাম।

ঐশ্বরিয়াকে সালমানের এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যোগ্য হয়ে থাকলে, কোন ব্যক্তি ক্রীড়া কিংবা সঙ্গীত যেকোন ক্ষেত্রেই সফল হোক না কেন, তাকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারটিকে আমি অসাধারণ বলে মনে করি এবং তার সেই দায়িত্বটি প্রাপ্য বলে আমার মনে হয়।”

সালমান খানকে অলিম্পিক গেইমসে ভারতের দূত হিসেবে নির্বাচনের পরপরই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শোনা যায় ভারতের বিভিন্ন প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদদের মুখ থেকে। প্রথমে এ বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের অলিম্পিয়ান দৌড়বিদ মিলখা সিং। তিনি মনে করেন, অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার মতো অনেক খেলোয়াড় থাকতে একজন বলিউড তারকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি।

মিলখার মন্তব্যে রেগে গিয়ে টুইটারে পাল্টা জবাব দেন সালমানের বাবা সেলিম খান। শুরু হয় বিতর্ক।

একইভাবে কোনো খেলোয়াড়কে এই দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত, ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরসহ আরো অনেকে।

ঐশ্বরিয়ার মুখ থেকে সালমানের পক্ষে কথা বলাটা বেশ অবাক করা ঘটনাই বলা যায়। সাবেক এই প্রেমিক-প্রেমিকা দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে চলেছেন পরষ্পরকে। তাদের তিন বছরের প্রণয় বিচ্ছেদে রূপ নেয় ২০০১ সালে। ঐশ্বরিয়ার অভিজ্ঞতা সালমানের অন্যান্য প্রেমিকাদের চাইতে আরো বেশি তিক্ত। সালমানের বিরুদ্ধে শারিরীক নির্যাতন এবং হুমকির অভিযোগ এনেছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। 

বহুদিন পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্কে মিডিয়াতে মুখ খোলার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন তারা। সালমানের পক্ষে ঐশ্বরিয়ারকে কথা বলতে দেখে চোখ কপালে তোলাটা তাই স্বাভাবিক।