নিজে এখনও কেনাকাটা করতে পারেননি। শুধু ভেবে রেখেছেন কোন পরবে কি পরবেন। শাড়ি পরবেন অবশ্যই আর সুযোগ পেলেই চড়বেন নাগরদোলায়।
পাওলি তার এবারের পূজা পরিকল্পনার পুরোটাই লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারে।
পূজার গন্ধ এরই মধ্যে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সময়টা কলকাতাতেই কাটাতে জমে থাকা সব কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন পাওলি। তাই এখনও পর্যন্ত কেনাকাটা করা হয়নি। তবে প্রেমিক অর্জুন দেবের বাড়ির লোকেরা আগেভাগেই পাঠিয়ে দিয়েছেন পূজার উপহার।
“মেখলা আর অসম সিল্ক। লাল-কালো কম্বিনেশনের অসম সিল্কটা আমার দারুণ লেগেছে। কবে ওটা পরবো ঠিক করিনি। তবে পুজোতে যে কোনো এক দিন হালকা গয়না দিয়ে পরবো শাড়িটা।”
পূজার দিনটি নিয়ে লিখেছেন, “আমি অতটা ফ্যাশন সচেতন নই। জামাকাপড় পরাটা আমার মুডের ওপর নির্ভর করে। পূজার সকালে হয়তো টাঙ্গাইল, ঢাকাইয়ের মতো হালকা শাড়ি পরব। অনেক প্যান্ডেলের উদ্বোধন রয়েছে, অনেক জায়গায় বিচারক হিসাবেও যাবো, তাই পুজোর সকালে কুর্তা-পালাজো বা কুর্তা-লংস্কার্টও পরতে পারি।”
“রাতের জন্য কাঞ্জিভরম বা তসর আমার পছন্দের। লাল, কালো, সাদা আর ভাইব্র্যান্ট পিঙ্ক আমার এবার পূজার রং। তবে কোনো ডিজাইনার শাড়ি নয়, বচ্ছরকার দিনে ট্র্যাডিশনাল শাড়িতেই সাজবো। এমনিতে রূপার গয়না, বিড্স বা ট্রাইবাল কস্টিউম জুয়েলারি আমার ভাল লাগে। তবে হিরে বা সোনাও পরি। সবটাই নির্ভর করে কেমন শাড়ি পরছি তার ওপর।”
পূজার দিন ঘোরাঘুরি আর ফুচকা বাধ্যতামূলক। সঙ্গে থাকবেন অর্জুন। তিনি রাজি থাকলে নাগরদোলায় চড়বেন অবশ্যই।
“নাগরদোলা। এখনও সঙ্গী পেলে উঠে পড়ি। অর্জুন রাজি হবে কিনা জানি না। তবে ওই অত উঁচু থেকে ঘোরাটা আমাকে যেন ভিতর থেকে নাড়িয়ে দেয়!”