রেখার স্মরণীয় ১০ চরিত্র

রূপের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। শ্যাম বরণ নিয়েও হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সেরা সুন্দরীদের কাতারে আছেন শীর্ষে। তিনি রেখা। 

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2015, 10:43 AM
Updated : 10 Oct 2015, 10:44 AM

১০ অক্টোবর বয়স ৬১ হলো তার। অসামান্য এই অভিনেত্রীর স্মরণীয় কিছু চরিত্রের কথা জেনে নেয়া যাক।
 

উমরাও জান (১৯৮১)

মির্জা হাদি রুসুয়ার লেখা উর্দু উপন্যাস ‘উমরাও জান আদা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘উমরাও জান’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন রেখা। উনবিংশ দশকের শুরুর দিকের পটভূমিতে লক্ষ্ণৌ শহরের এক বাঈজি ও কবির চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এই চরিত্রে অভিনয় করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। 

সিলসিলা (১৯৮১)

‘সিলসিলা’কে বলা হয় রেখার জীবনের গল্প। ইয়াশ চোপড়া পরিচালিত সিনেমাটিতে তিনি এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি বিবাহিতা হয়েও পুরোনো প্রেমিককে ভুলতে পারেন না। সিনেমায় তার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন আর তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন জয়া বচ্চন।   

খুন ভারী মাং (১৯৮৮)

‘খুন ভারী মাং’ অন্যতম। এক অসহায় নারীর শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে কেবল ঘুরে দাড়ানোরই নয়, উপযুক্ত প্রতিশোধ নেয়ার গল্প বলে সিনেমাটি। সাবলীল অভিনয় এবং স্বভাবসুলভ কতৃত্বে সিনেমাটি একাই টেনে নিয়ে গেছেন রেখা।  

খুবসুরাত (১৯৮০)

সদাহাস্য তরুণী মঞ্জুর চরিত্রে রেখাকে এই সিনেমায় এতটাই ভালবেসেছিলেন দর্শক, যে রেখার কথা উঠলেই এই সিনেমাটির কথা উঠে আসে। হৃষিকেশ মুখার্জি পরিচালিত ‘খুবসুরাত’ সে বছর জিতে নেয় সেরা সিনেমার ফিল্মফেয়ার, সেই সঙ্গে রেখাও সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান।  

ঘর (১৯৭৮)

সদ্য বিবাহিতা এক নারীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা ও দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘ঘর’- এর গল্প। সিনেমাটিতে জটিল এই চরিত্রটির মানসিক টানাপড়েন ও বদলে যাওয়া চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন তিনি।

মুকাদ্দার কা সিকান্দার (১৯৭৮)

‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ -  এমন এক বাঈজীর চরিত্রে দেখা যায় রেখাকে যে ভালবাসার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতেও পিছু হটেনা। অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে সিনেমাটিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। 

ফুল বানে আঙ্গারে (১৯৯১)

পুলিশ স্বামীর সামনেই ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এরপর তার চোখের সামনেই মেরে ফেলা হয় তার স্বামীকে। প্রতিশোধ নিতে নিজেই পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে ওঠেন এই নারী। আইনের সহায়তায় এক এক করে শত্রু নিধন করেন।  

মি. নাটওয়ারলাল (১৯৭৯)

অমিতাভ বচ্চন-রেখা জুটির একটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা এটি। সিনেমায় তাদের পর্দা রসায়ন এবং ‘পারদেসিয়া’ - গানে তাদের পারফর্ম্যান্স দর্শকদের মন মাতিয়েছিল। 

উৎসব (১৯৮৪)

শেখর সুমনের বিপরীতে রেখার ‘উৎসব’ সিনেমাটি সে বছর সেন্সর বোর্ড থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সনদ পেয়েছিল। এক বারবনিতার চরিত্রে এ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। মোহনীয়া এক নারীর ভূমিকায় তিনি ছিলেন অনবদ্য। 

ইজাজাত (১৯৮৭)

এই সিনেমায় রেখা অভিনয় এমন এক স্ত্রীর ভূমিকায় যার স্বামীর পুরনো প্রেমিকা ফিরে আসে। সম্পর্কের নানা জটিলতাকে ‍তুলে ধরা সিনেমাটিতে রেখার দক্ষ অভিনয় দর্শক মহলে ব্যপক সমাদৃত হয়।