'জানতাম পাকিস্তান এমন করবে'

মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলার পটভূমিতে নির্মিত সাইফ আলি খানের নতুন সিনেমা ‘ফ্যান্টম’ মুক্তির আগেই জন্ম দিয়েছে অনেক আলোচনার। এর মধ্যেই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিনেমাটিকে। তবে এমনটা ঘটবে তা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন বলে জানালেন সাইফ।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2015, 12:02 PM
Updated : 25 August 2015, 12:02 PM

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত জামাত-উদ-দাওয়ার আমির হাফিজ সায়িদ, যাকে মুম্বাই হামলার হোতা হিসেবে সন্দেহ করা হয়, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি আদালত ‘ফ্যান্টম’-এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সায়িদ সিনেমাটিকে তার এবং তার দেশের বিরূদ্ধে ‘জঘন্য ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সাইফ আলি খান ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডেকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “সবারই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু আমরা তার (হাফিজ সায়িদ) ঘৃণাময় বক্তব্য শুনেছি। সে আমাদের ঘৃণা করে। আজমল কাসাব (মুম্বাই হামলার অন্যতম আসামী) - এর মতো মানুষ এসবেরই ফসল। তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয় জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য।”

“তবে একই সঙ্গে আমরা এটাও জানি, সে পাকিস্তানের মানুষকে তুলে ধরে না। তাদেরই জনগোষ্ঠীর একটা অংশ রয়েছে যারা নিজের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চায় এবং সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।”

একটি সিনেমা নিয়ে হাফিজ সায়িদের ‘বাড়াবাড়ি দুশ্চিন্তা’ হাস্যকর মনে হয়েছে বলে জানালেন সাইফ। 

“ফ্যান্টম সত্যি ঘটনা এবং কল্পনার এক সংমিশ্রণ। সবাই জানে ২৬/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী কারা ছিল। যেভাবে কাসাবকে মুম্বাইতে পাঠানো হয়েছিল রেল স্টেশন এবং হোটেলে নিষ্পাপ মানুষকে গুলি করে মারার জন্য, একই ভাবে সিনেমাটিতে আমরা ভারত থেকে একজনকে পাঠিয়ে বোমা হামলার মূল হোতাকে খুঁজে বের করে হত্যার ব্যাপারটি দেখাতে চেয়েছি। এখানেই আমরা কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি। এটি একটি নিরপেক্ষ সিনেমা। সিনেমাটির সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই মুসলিম। আমরা পরিষ্কারভাবে দেখাতে চেয়েছি, আমরা আগে ভারতীয়।”

এর আগেই তিনি বলেন, তিনি জানতেন ‘ফ্যান্টম’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।

“আমি যখন ‘ফ্যান্টম’-এর জন্য শুটিং করছি, তখনই আমি জানতাম পাকিস্তান সিনেমাটি না দেখেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। আমি ‘এজেন্ট ভিনোদ’ তৈরি করেছি এবং কবির খান এর আগে তৈরি করেছে ‘এক থা টাইগার’। দুটো সিনেমাই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়েছে। আর তাই আমি খুব একটা অবক হইনি এবার।”