ফাঁসির আসামিকে বাঁচানোর আহ্বান সালমানের

ভারতীয় অভিনেতা সালমান খান বলেছেন, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলার আসামী ইয়াকুব মেমনের বদলে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিৎ তার ভাই টাইগার মেমনকে।

গ্লিটজ ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2015, 02:08 PM
Updated : 27 July 2015, 11:04 AM

শনিবার রাতে এ বিষয়ে সালমান টুইটারে পোস্ট করেন, “টাইগারকে ফাঁসিতে ঝোলান। কিন্তু টাইগারের ভাইকে ঝোলানো হচ্ছে। আরে, টাইগার কোথায়? টাইগারকে ধরে আনুন, তাকে ফাঁসিতে ঝোলান। তাকে শাস্তি দিন, তার ভাইকে না।”

১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার অপরাধে মহারাষ্ট্রের আদালতে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির আদেশ হয়। মুম্বাইয়ের শেয়ার বাজার, জনপ্রিয় এক সিনেমা হল এবং দুটি মার্কেটে চালানো ওই হামলায় নিহত হন ২৫৭ জন। আহত হন ৭১২ জন। ইয়াকুবের ফাঁসি ৩০ জুলাই কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। 

এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াকুবের ভাই ইব্রাহিম, ওরফে টাইগার মেমন এবং কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম। টাইগার এবং দাউদ দুজনেই পলাতক। কথিত আছে তারা পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন।

সালমান পুরো ঘটনার জন্য টাইগারকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। 

'এক থা টাইগার' খ্যাত এই অভিনেতার পরবর্তী টুইট ছিল, “আমরা আমাদের পরিবারের জন্য মরতে পারি। টাইগার, তোমার জন্য কোনো একদিন তোমার ভাইকে ঝোলানো হবে। কিছু একটা বল, কোনো বিবৃতি দাও, অথবা এমন কিছু কর, যাতে বোঝা যায়, এর পেছনে তুমি ছিলে। তুমি কেমন ভাই?”

হঠাৎ করেই ইয়াকুব মেমনের পক্ষে নিজের সরব হওয়ার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেন তিনি।

“আমি তিন দিন ধরে এই টুইটটি করার অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু ভয় পচ্ছিলাম। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে এখন একজন মানুষ এবং তার পরিবার জড়িয়ে গেছে। ভাইকে ঝুলিও না। ফাঁসিতে ঝোলাও ওই শেয়ালকে, যে পালিয়ে গেছে।”

এমনকি পকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছে ইয়াকুবকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েও একটি টুইট করেন সালমান।

“একজন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা পুরো মানবতাকেই হত্যার শামিল। ইয়াকুব মেমনের ব্যাপারে মন্তব্য করার আগে তাকে নিয়ে পড়ুন। টাইগার, তুমি কোথায় লুকিয়ে আছো? শরিফ সাহেব, আমি আপনাকে অনুরোধ করবো টাইগার সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদেরকে তা জানান।”

এদিকে একজন ফাঁসির আসামীর পক্ষে সাফাই গাওয়া নিয়ে এর মধ্যেই বিতর্কের মুখোমুখি হচ্ছেন সালমান। তার বাড়ির আশপাশেও নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে এ কারণে।

সালমান খানের বাবা, চিত্রনাট্যকার সেলিম খানও বলেছেন,  আগে পিছে না ভেবে এরকম একটি বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হয়নি সালমানের।

“ইয়াকুবের পক্ষে টুইট করার আগে বিষয়টির স্পর্শকাতরতা নিয়ে সালমানের ভাবা উচিৎ ছিল।”